সোনারগাঁয়ে হত্যাকারীদের ফাসির দাবীতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার লেদামদী গ্রামের মাহবুব হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
আজ রোববার উপজেলার হরিহরদী বাজারে লেদামদী, টেমদী, হরিহরদী গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
নিহত মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, চাকরির পাশাপাশি তার স্বামী স্থানীয়ভাবে জমি জমার ব্যবসায় করতেন। গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার স্বামীর কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে পাশের টেমদী গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, আমির হোসেন, মোমেন মিয়া, কবির হোসেন, রবিন মিয়া, আবু হানিফ ও আল আমিনসহ ১০-১২ জনের একদল বাহিনী রামদা, টেঁটা ও রড দিয়ে তার স্বামী মাহবুবুর রহমানকে এলো পাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দু’পা ভেঙে মারাত্মকভাবে জখম করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বামীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ আট মাস চিকিৎসা পর গত ২৩ আগষ্ট শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিসিইউতে) মারা যান।
তিনি আরো জানান, মাহবুবের দাফনের পর আসামিরা একত্রিত হয়ে প্রধান আসামি ইসহাকের নেতৃত্বে ফজলু, জাকির, হারুন, লুৎফর, বেলু, মুজিবুর, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল, মাসুম, মোমেন ও কবিরসহ ৪০-৫০ জনের একটি দল মাহবুবের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় হায়দার আলী, মামুন মিয়া, হোসনে আরা ও মতিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত মাহবুব হত্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার আরও জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় ডিসেম্বর মাসে সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তার স্বামীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে দু’পা ভেঙে দেয়। বিয়ের ১১ মাসে তার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্বামীর হত্যাকারী জামিনে থাকায়আমার পুরো পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আসামি ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের বাবা শাহাজাদা মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বাবা আমার ছেলের ব্যাপারে বিচার পাব কিনা এ নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বলছে মামলা করে আমাদের কিছুই হবে না। আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মাহবুব হত্যার আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো বাদি পক্ষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত জানান