সোনারগাঁয়ে স্বদেশ বাসে কিশোরী ধর্ষণ, চালক আটক

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বদেশ সার্ভিস নামক একটি চলন্ত বাসে এক কিশোরী ধর্ষণরত অবস্থায় গাড়ির চালককে  আটক করে জনতা। ১০ জুন সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দিলে গাড়ির চালক ও বাসটি জব্দ করে সোনারগাঁ থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে দশটায় মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছিল, এমন সময় ঢাকা টু মেঘনায় চলাচলরত একটি স্বদেশ গাড়ি দেখে থামাতে বললে গাড়িটি আরো দ্রুতবেগে ছুটে যেতেই বাস থেকে এক কিশোরীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পায়। চিৎকার শুনে সকলে দৌড়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ায়। গাড়ি থামলে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়িরা গাড়িতে উঠে দেখতে পায় হেল্পপার গাড়ি চালাচ্ছে আর গাড়ির চালক এক কিশোরী যাত্রীকে ধর্ষণ করছে। পরে তাকে আটক করে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে এস আই তাওহীদ  গাড়ির চালক এবং স্বদেশ বাসটি ( ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৭২৬৫) আটক করে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে যায়।

নিউটাউনের ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন জানান, মেয়ে কন্ঠে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের সামনে মানব দেয়াল তৈরি করি। বাসে উঠে ধর্ষণরত অবস্থায় চালককে আটক করি। এ ফাঁকে সুযোগ বুঝে হেল্পপার পালিয়ে যায়। আমরা আনন্দিত যে অন্তত একটি ধর্ষণ রুখতে পেরেছি। এমনও হতে পারতো ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে হত্যা করে ফেলে যেতো। একাত্ববদ্ধ জনতা চিৎকার করে বলেন, আমরা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এস আই তাওহিদ উল্লাহ জানান, স্বদেশ বাসে ধর্ষণের খবর পেয়ে মেঘনা নিউটাউনে গিয়ে জনতার হাত থেকে ধর্ষক ও গাড়ি আটক করি। তিনি জানান, ধর্ষক শামীম মিয়া নানাখি মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ রব ভূইয়ার ছেলে। কিশোরির বাড়ি কিশোরগঞ্জ। সে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের জনৈক মেম্বাররের বাড়ির ভাড়াটিয়া, তার নাম শাহিনা।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণে অভিযোগে ধর্ষক চালক ও বাসটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনার মতামত জানান