সোনারগাঁয়ে শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা, ভাংচুর, লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ইট পাটকেলের আঘাতে ৪ নারী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে মনির হোসেন নামের বিএনপি নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিমের ওপর ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির হোসেন, রিফাত, সজিব. রুবেলসহ ২০-২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। এসময় বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীরা আব্দুল হালিমকে কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সে পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান। সোমবার সন্ধ্যায় আব্দুল হালিমের স্ত্রী বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার খবরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির হোসেন, রিফাত, রুবেলসহ শতাধিক লোকজন একত্রিত হয়ে হামলা করে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলায় মিনারা বেগম, রিয়া আক্তার,মাকসুদা ও মনোয়ারা বেগম আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির দরজা ও জানালা, আসবাবপত্র ভংচুর করে। এক পর্যায়ে ফ্যান, টিভি, তিনটি সাইকেল ও চেয়ার, টেবিল লুট করে নিয়ে যায় তারা। লুটপাটের সময় ভূক্তভোগী শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল হালিমের স্ত্রী মিনারা আক্তার ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনির হোসেন নামের একটি বিএনপি নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা রাতে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ভূক্তভোগী শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল হালিমের স্ত্রী মিনারা আক্তার জানান, ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে তার বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় রমজান উপলক্ষে সন্তানসহ বাড়িতে আসার খবরে শতাধিক লোকজন হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। পুলিশ হত্যা চেষ্টা মামলার এজহারভূক্ত একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।
অভিযুক্ত পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। হালিমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী তাদের কর্মীদের গালিগালাজ করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি আব্দুল বারী বলেন, অভিযোগকারী না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই এলাকায় কোন হামলার ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত জানান