সোনারগাঁয়ে শিক্ষকের অমর্যাদা সমালোচনার ঝড়
শিক্ষকের চেয়ারে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, পাশের চেয়ারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডানপাশে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল নিলু , তার পাশে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছাগির আহম্মেদ। পাশে কাঁচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক রেজাউল স্যার। এ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক মাস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এ সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। তার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অত্র ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সভা ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
কর্মীসভা শেষে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাথে নিয়ে অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া সহ স্থানীয় নেতারা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় নেতারা প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে থাকলেও চেয়ার ধরে কাঁচুমাঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করার সাথে সাথে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আইয়ুব হোসেন সুমন পোষ্টের নিচে মন্তব্য করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার অধিকারতো অন্য কারো নেই। তিনি যেই হোন না কেন?
আরমান প্রধান মন্তব্য করে বলেন, পৃথিবীর সবচে সম্মানীত পেশা নাকি শিক্ষকতা। এই তার নমুনা।
জামাল হোসেন লিখেন, এই হলো সোনারগাঁও এর আওয়ামীলীগ, ধীক্কার জানাই এসব নেতাদের, যেখানে বর্হিবিশে^ শিক্ষকদের মর্যাদা সর্বোচ্চস্থানে, আর আমাদের দেশে এ অবস্থা, কি করে জনগণ এই সব নেতাদের কাছে ভালো কিছু আসা করবে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষককে অনেকবার বসতে বলেছি, কিন্তু তিনি বসেননি।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি সেখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছি। সেখানে অনেককেই আমি চিনি না। তবে স্থানীয় নেতারা নিশ্চয়ই চিনতেন। আমিও একজন ছাত্র। আমার আজকের এ অবস্থানের জন্য শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা আমি প্রতি মূহুর্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। শিক্ষকদের অসম্মান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আপনার মতামত জানান