সোনারগাঁয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন প্রতিবন্ধী

প্রকাশিত



নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুর উত্তর সেনপাড়া এলাকার একটি কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিকল বাধা অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার (৩২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আগুনে ওই কলোনির অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত রুমার মা তাছলিমা বেগম। নিহত রুমা আক্তার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পশ্চিমবাগড়া এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর সেনপাড়ার ফজলুল হক ও মোতালেব মিয়ার কলোনিতে বিদ্যুত থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ফজলুল হক কলোনীর ৩৩টি টিনশেড ঘর ও মোতালেব মিয়ার কলোনির ৮টিসহ অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিকল বাধা অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী রুমা আক্তার নিহত হয়েছে। তাকে বাচাঁনোর চেষ্টা করতে গিয়ে তার মা তাছলিমা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সোনারগাঁ, ডেমরা ও আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত রুমা আক্তারের বড় বোন ঝুমা আক্তার জানান, তার মা কাচঁপুরেও একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ছোট বোন রুমা আক্তার গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাচঁপুরে তাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। সে মানসিক প্রতিবন্ধী থাকায় তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হতো। রাত ৩টায় ঘরের চালে আগুন দেখে আমরা তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। পরে রুমার কথা মনে করে তাকে বাচাঁতে গেলে তার মা অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয় এবং রুমা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

বাড়ির মালিক ফজলুল হক ও মোতালিব মিয়া দাবী করছেন, আগুনে তাদের টিনশেড ঘর ও ভাড়াটিয়াদের মালামালসহ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ডেমরা ফায়ার স্টেশনের জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।

আপনার মতামত জানান