সোনারগাঁয়ে তিনজনের মৃত্যু, তিনজন আশঙ্কাজনক

প্রকাশিত



নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় নাক, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণে তিন যুবক নিহত, তিনজন মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে। আজ শনিবার উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই একই এলাকার যুবক। তাদের জানাজাশেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জানা যায়, সোনারগাঁ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু (২৮), তোফাজ্জল ড্রাইভার (৩৫), মহসিন (২১) নামের ৩ যুবক মারা গেছে। আরো তিনজন মৃত্যুশয্যায় ও আটজন ঝুঁকিমুক্ত বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে ঝাউচরের কামালের ছেলে জিসান, কাদিরগঞ্জের আঃ ছালামের ছেলে রাহিম এবং একই এলাকার প্রদীদ। এছাড়া আশঙ্কামুক্ত হৃদয়, সারোয়ার, সাব্বিরের নাম জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ জন কিশোর ও যুবক মিলে খাসির বারবিকউ’র সাথে
অতিরিক্ত মদপান করে। মদ্যপান করে সারা রাত ঘুমিয়ে সকালবেলা জেগে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে। এ সময় পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ অবস্থায় তোফাজ্জল বাড়িতে এবং মহসিনকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে জাহিদ হাসান বাবু আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৩টার সময় মারা যায়।

মৃত জাহিদ হাসান বাবু সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম এর ছোট ভাই, মৃত তোফাজ্জল (৩৫) হোসেন পিরোজপুর গ্রামের ছিদ্দিক ছইয়ালের ছেলে ও চেয়ারম্যানের ড্রাইভার, মৃত মহসিন (২১) কাদিরগঞ্জ গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।

নিহতদের পরিবারের দাবি, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা মারা গেছে।মৃত্যুর পর তাদের সারা শরীর নীলবর্ণ হয়ে গেছে। ড্রাইভার তোফাজ্জলের পরিবার জানিয়েছে, তোফাজ্জল হোসেন পাকস্থলির পচন রোগে আক্রান্ত।

সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম তিনজনের মৃতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ অবগত হওয়ার আগেই দিুইজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। জাহিদ হাসান বাবু মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ ও অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে তার মৃত্যুর সনদ পত্রে উল্লেখ করেছে। পরিবারের আবেদনের পেক্ষিতে এবং মৃত্যু সনদ েএলকোহলের উপস্তিতি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া্ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান