সোনারগাঁয়ে আহবায়ক কমিটি অবাঞ্চিত ঘোষনার পর এবার প্রতিহত করার হুশিয়ারী।

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগে মুক্তিযুদ্ধের বিতর্কিত পরিবারের সদস্যদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত আহবায়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষনার পর প্রতিহতের ঘোষনা দিয়েছেন আওয়ামী পরিবার। শনিবার (২৪ আগস্ট) মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে ১৫ ও ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরনে শোকসভা করে এ ঘোষনা দেন নেতারা।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির কয়েকজন সদস্যের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী ছিলো উল্লেখ করে তাদের উপজেলার সর্বত্র প্রতিহতের ঘোষনা দিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা।

সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ দুলাল, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন শাবু, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহাম্মেদ বাদশা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী নাসরিন সুলতানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপ-কমান্ডার ওসমান গনি, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধক্ষ্য ও সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু, সনমান্দী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রবিন, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আহাম্মেদ আলী তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহামুদ প্রমূখ।

সভায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। সভার ব্যানারে শোকসভা উল্লেখ করা হলেও অধিকাংশ বক্তা গত ৩০ জুলাই বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত উপজেলা আওয়ামীলীগের আট সদস্যের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও এ কমিটির সদস্যদের যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।

বক্তরা বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে দীর্ঘ দিন ধরে কোন্দল থাকার কারনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতাকারী চিহিৃত রাজাকারদের পরিবারের কয়েক জন সদস্য ও ভূমি দস্যূতা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করেননি এমন বিতর্কিত ব্যক্তিদের কালো টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো অনুমোদন না নিয়ে একজন প্রভাবশালী সাংসদের ইশারায় অবৈধভাবে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি গঠনের পর থেকে এ কমিটির কয়েক জন সদস্য নেতাকর্মীদের জনরোষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত এ কমিটির কোথাও সভা করতে পারেনি। সভায় দীর্ঘ দিনের কোন্দল ভেঙ্গে চারভাগে বিভক্ত আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তার চাচা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ দুলাল তাদের সমর্থকদের নিয়ে এক সঙ্গে এক মঞ্চে উঠে আজীবন একত্রিত হয়ে রাজনীতি করার অঙ্গীকার করেন। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী চার নেতা এক হয়ে মঞ্চে উঠায় করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানায়।

সভায় সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম অভিন্ন বক্তব্যে বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে যেসব রাজাকার পরিবারের সন্তান ও বিতর্কিত ব্যক্তিরা তথা কথিত আহবায়ক কমিটিতে সদস্য হয়েছেন তাদের প্রতিহত করা হবে। তাদের কোনো স্থানে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সভা করতে দেওয়া হবেনা।

এ সময় তারা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের যথার্থ সম্মান দিতে হবে। না হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করা হবে বলে হুশিয়ারী করে দেন তারা।

বক্তারা আরো বলেন, একবস্তা টাকা, একমুঠো রাজাকার আর এক চিমটি বাবা দিয়ে ঘুটা দিলেই আওয়ামী লীগ নেতা হওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ করতে হলে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা বিশ্বনেত্রীর আদর্শ, দেশপ্রেম নিয়ে রাজপথে প্রধানমন্ত্রীর অতন্ত্র প্রহরী হয়ে কাজ করতে হয়। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করতে পারে না।

আপনার মতামত জানান