সোনারগাঁয়ের মেঘনা ঘাটের হোলসিম জেটিতে জাহাজ ডুবি

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এর নিজস্ব জেটিতে লজিষ্টিক বিভাগের অবহেলার কারনে একটি পন্যবাহী জাহাজ ডুবির খবর পাওয়া গেছে। এমভি মরিয়ম জুসি-২ জাহাজটি ৭৭৫ মেট্টিকটন ফ্লইঅ্যাস সহ গত ৩০ আগষ্ট শুক্রবার দুপুরে কোম্পনীর নিজস্ব জেটিতে তলিয়ে যায়।

জাহাজের মাষ্টার সায়েব আলী জানান, ১৯ আগষ্ট কলকাতা থেকে ৭৭৫ মেট্টিকটন ফ্লাইএ্যাশ বোঝাই করে জাহাজটি ৩০ আগষ্ট মেঘনায় পৌছায়। জাহাজটি মতলব উপজেলার মোহনপুরের কোন এক ডুবোচরে আঘাত হানতে পারে। পরে সকাল বেলা জাহাজ ছিদ্র দিয়ে পানি উঠতে দেখা যায়। বিষয়টি সাথে সাথে জাহাজের মালিক শেখ ব্রাদার্সের জসীম সাহেব এবং লাফার্জ হোলসিম কোম্পানীর লজিষ্টিক বিভাগকে জানাই। লজিষ্টিক বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়, জাহাজটি জেটিতে পৌছাতে পারলে দ্রুত মাল আনলোড করা হবে। কিন্তু জাহাজটি জেটিতে পৌছানোর পর মালামাল আনলোড করতে না পারায় আড়াই ঘন্টা পর জাহাজটি ডুবে যায়। লজিষ্টিক বিভাগের গাফিলতির কারনে জাহাজটি ডুবে যায় বলে জানানো হয়। লজিষ্টিক অফিসার শামীম আন্তরিকভাবে চাইলে জাহাজটি রক্ষা করতে পারতো। এতে আমাদের বড় রকম ক্ষতি হয়েছে। জাহাজে থাকা খাদ্য দ্রব্য, নাবিকদের মোবাইল সহ কোন কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।

এ ব্যাপারে লাফার্জ হোলসিম এর লজিষ্টিক অফিসার শামীম এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শুক্রবার (আগস্ট ৩০, ২০১৯) সকালে মেঘনা ঘাটে ফ্লাইঅ্যাশ বহনকারি এমভি মরিয়ম জুসি-২ পৌঁছায়। তখন সেই জাহাজে পানি উঠছিল। মাস্টারের ভাষ্যমতে, আগের দিন জাহাজটি ডুবোচরে আঘাত পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সকালে সে জাহাজে পানি উঠতে দেখে। এভাবেই সে জাহাজটিকে মেঘনা ঘাটে নিয়ে আসে। জাহাজটিকে ভাসিয়ে রেখে নিরাপদে মালামাল সরিয়ে নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকা মূল্যের ফ্লাই অ্যাশ ছিল।

জাহাজটি উদ্ধারের ব্যাপারে জাহাজের নাবিক সায়েদ আলী জানান, এ ব্যাপারে কয়েকটি উদ্ধারকারী কোম্পানীর সাথে কথা হচ্ছে। চুক্তিপত্র সম্পন্ন হলে আজ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চলবে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমদের কেউ কিছু জানায়নি।

আপনার মতামত জানান