সেতু নয় যেন মৃত্যুফাঁদ
বরিশালের বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের পশ্চিম মলুহার ও বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারেরপাড় সংযোগ খালে বাঁশের সাঁকো যেন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যুগের পর যুগ ধরে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের দুই গ্রামের মানুষকে ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশারকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব উমারেরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উমারেরপাড়-মলুহার নেছারিয়া নূরানী হাফেজি মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ও বাড়ি ফিরতে হয়। এ কারণে সন্তানদের স্কুল ও মাদরাসায় পাঠিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন।
এসব শিশুর মধ্যে অনেকেই সাঁতার জানে না। এই সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া এ সাঁকো পেরিয়ে প্রসূতিসহ নারীদের স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যেতে হয়। বৃদ্ধ মুসল্লিদের পূর্ব উমারেরপাড় ও মলুহার বায়তুল আমান মসজিদে নামাজ আদায়ে এ সাঁকো দিয়েই যেতে হয়। স্থানীয় তালতলা বাজারে কেনাকাটা করতেও এ সাঁকোই ভরসা।
এলাকাবাসী স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন করলেও ‘মৃত্যুফাঁদ’ এ বাঁশের সাঁকোর স্থলে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। তাঁরা এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম ফারুকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি তার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের অধিকাংশ সংযোগ খালে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। তার দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থলে বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যেন পাকা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, দুই ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম ফারুক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থলে আয়রন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত জানান