সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগে দুই নারী সাংবাদিক আটক
ভারতের ত্রিপুরা পুলিশের রোষানলে পড়তে হয়েছে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া দুই নারী সাংবাদিককে। সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা নামে দুই সাংবাদিককে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আটক করে নীলমবাজার থানা পুলিশ। আসামের করিমগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
ত্রিপুরা পুলিশ আগেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ত্রিপুরা পুলিশ জানায়, ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সমর্থক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর বলে জানানো হয়। এদিকে ওই দুই নারী সাংবাদিকের বক্তব্য, তারা ত্রিপুরার যে হোটেলে রয়েছেন, সেই হোটেলে রবিবার সকালে পুলিশ আসে। ওই পুলিশকর্মীরা তাদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ সমৃদ্ধি এবং স্বর্ণার।
জানা গেছে, ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক যে সহিংসতার খবর ছড়িয়েছিল, সেই সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করছিলেন তারা। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সহিংসতার অভিযোগ ভুয়া। অভিযোগকারী কাঞ্চন দাসের বক্তব্য, ওই দুই সাংবাদিক বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বৈরিতা ছড়ানোর কাজে যুক্ত ছিল এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ ধারা এবং ১২০ -বি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
স্বর্ণা ঝা টুইটারে জানান, তারা কোনো সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেননি। ওই মসজিদের উপর ভাঙচুর চালানোর বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তারা। আগামী ২১ নভেম্বর তাদের দু’জনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ডেকেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
দুই সাংবাদিককে আটক করার প্রসঙ্গে ত্রিপুরা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ত্রিপুরা ছেড়ে যাওয়ার আগে তাদের পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করার কথা ছিল। পরিবর্তে কোনো কিছু না জানিয়েই তারা আসামের দিকে রওনা দেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তার দাবি, সেই ভিডিও-তে গোমতি জেলার একটি ‘পোড়া’ প্রার্থনার ঘর এবং ‘কিছুটা পোড়া’ ধর্মীয় গ্রন্থ দেখানো হয়েছিল। সেটিই পরে ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
আপনার মতামত জানান