সাধনা ও ডিসি কবীরের সম্পর্ক যেভাবে শুরু

প্রকাশিত

নারী অফিস সহাকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় জামালপুরের জেলা প্রশাসক পদ থেকে প্রত্যাহার হওয়া সরকারের উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা আহমেদ কবীর এখন সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু! গতকাল রোববার তাকে জামালপুর থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে ওএসডি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ খবর জানাজানির পর জেলা প্রশাসক অফিসের অফিস সহকারী (পিয়ন) সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাকে নিয়ে মুখরোচক নানা কথা বলতে শুরু করেছেন। যারা ভয়ে এতদিন আহমেদ কবীর ও তার শয্যাসঙ্গীকে নিয়ে কোন কথা বলেননি, তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে দেখা করেন সাধনা। সে সময় সাধনার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে তাকে স্টল বরাদ্দ দেন ডিসি আহমেদ কবীর। পরে উন্নয়ন মেলা চলাকালে আহমেদ কবীরের সঙ্গে সখ্য আরও গভীর হয়। একপর্যায়ে সে সখ্য রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে।

সম্প্রতি সেই অবৈধ সম্পর্কের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয়। তারপর থেকে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হন তারা।

যেভাবে চাকরি পান সাধনা : চলতি বছর জানুয়ারিতে ডিসি অফিসে ২৭ জনকে অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদসহ ৫৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ডিসি অফিসে পিয়ন (অফিস সহকারী) পদে নিয়োগ পান সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। সেই সঙ্গে তার দুই আত্মীয় রজব আলী ও সাবান আলীকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন তিনি।

২০০৯ সালে মারা যান সাধনার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তার পালক পিতামাতার সাথে জামালপুর শহরের বগাবাইদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সাধনার উশৃঙ্খল জীবন-যাপন ও অবাধ চাল-চলনের কারণে টেকেনি দ্বিতীয় বিয়েটিও। দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি নিজ ঘরেই দোকান দিয়ে বিক্রি করতেন দেশি-বিদেশি প্রসাধনী। সেই ব্যবসাতেও টিকতে না পেরে শুরু করেন হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নিয়েই ডিসি আহমেদ কবীরের সাথে গড়ে সম্পর্ক।

আপনার মতামত জানান