‘সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখবে মডেল মসজিদ’

প্রকাশিত

সারা দেশে গড়ে উঠা ৫০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এসব মসজিদ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখবে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৫৬০ টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ প্রচার করার লক্ষ্যেই দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের এই প্রকল্প সরকার নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবুর রহমান বলেন, এটাই হচ্ছে বিশ্বে প্রথম কোনো সরকারের একই সময়ে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ঘটনা, যা বিশ্বে বিরল।

সারা দেশে মডেল মসজিদ ও সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, আগামী অর্থবছরের মধ্যে আরো ১০০ মডেল মসজিদ চালু করা যাবে।

এ পর্যন্ত প্রকল্পের মোট কাজের ৩৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫৬০টি মডেল মসজিদের সবগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৯টি চারতলা মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এসব মসজিদের প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার।

বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি মডেল মসজিদ হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এসব মসজিদের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে জেলা শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা, উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। সারা দেশে নির্মাণাধীন এসব মসজিদের ভৌত অবকাঠামো গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১২ শ মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯ শ মানুষের নামাজের ব্যবস্থা থাকছে।

সূত্রঃ যুগান্তর

আপনার মতামত জানান