শেখ রাসেল জন্মদিন, অন্তহীন আবেগের প্রকাশ
শেখ রাসেলের জন্মদিনে সোনারগাঁয়ে অন্তহীন আবেগময় একটি ছবি ভেসে আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার তার অবুঝ সন্তানকে নিয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে যখন ফুল দিচ্ছেন তাঁর সন্তানদের অন্তহীন আবেগময় দৃষ্টি সকলের মনে দাগ কেটেছে।
তাদের দৃষ্টিতে ফুটে উঠেছে দুই বাংলার বিখ্যাত কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা। তারা যেন কবির কন্ঠে সুর মিলিয়ে বলছে, ‘যত নামহীন শিশু যেখানেই ঝরে যায় আমি ক্ষমা চাই, আমি সভ্যতার নামে ক্ষমা চাই।’ হত্যাকরীদের প্রতি ঘৃণা আর ক্ষমার পরস্পর বিরোধ নিয়ে আমি ফিরে তাকাই শেখ রাসেলের ছবির দিকে। শেখ রাসেলের ছবিগুলো যেন ‘চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।’
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আবেগ ভরা কন্ঠে বলেন, আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে কত ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছে। তাদের জানতে হবে ১৯৭৫ সালের নির্মম হত্যাকান্ডের ইতিহাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকারীদের বুলেট যখন ১১ বছরের রাসেলের বুক বিদীর্ণ করে মেঝেতে আছড়ে পরে তখন অসহিষ্ণুতা ও সংকীর্ণতার নিদারুণ প্রকাশ দেখা যায়। শুধু বাঙালির ইতিহাসই নয়, মানবজাতির ইতিহাসে এ এক অন্তহীন আবেগের দিন যেখানে জন্ম দিনের আলোচনায় মৃত্যুর নৃশংসতা উপস্থিত হয়ে মনকে ক্ষতবিক্ষত করে। দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ স্লোগানে বেদনা আর ভালবাসায় আমরা শেখ রাসেলকে স্মরণ করছি। শেখ রাসেলের শূন্যতা বাঙালির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করছে বারংবার। শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমাদের একটাই চাওয়া সারা পৃথিবীই শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠুক।
সৃষ্টিকর্তার কাছে শোকার্ত হৃদয়ে কবিগুরুর মতো জানতে ইচ্ছে হয়, ‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো, তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?’
আপনার মতামত জানান