শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন
শীতলক্ষ্যা নদীতে ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজ এবং ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের দুই চালকই বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম বেপারী। সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আলআমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামীম বেপারী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি দু’জনই বেপরোয়া গতির চালক ছিলেন (বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন)। আমরা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত জানাতে পারব। আশা করি এবার আমরা জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারব।
গতকাল রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯-এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সিগঞ্জগামী আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে প্রায় ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় রোববার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। লঞ্চডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌপুলিশ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় রাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেইসঙ্গে নিহত প্রত্যেকের মরদেহ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে। সেইসঙ্গে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ জনকে। এখনও নিখোঁজ চারজন।
আপনার মতামত জানান