শিশু খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইঞ্জি. মাসুম

প্রকাশিত

ডেইল সোনারগাঁ >>
খাদিজা আক্তারের ১০ বছরের জীবনের ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। সেটি সারাতে দেওয়া হচ্ছে কেমোথেরাপি। এমন যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে জীবন কাটাচ্ছে সে। ডেইলি সোনারগাঁ অন-লাইনে খবর পড়ে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম।
‘মানবিক সহযোগিতা বাঁচাতে পারে শিশু খাদিজার জীবন’ শিরোনামে গত ১৮ জুলাই ডেইলি সোনারগাঁ অন-লাইনে খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি পড়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম খাদিজার দিকে তার মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন। খাদিজার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা সহ শিশু খাদিজা সুস্থ্য হওয়া পর্যখন্ত তার যাবতীয় ঔষধের ব্যয়ভার গ্রহন করবেন বলে খাদিজার বাবাকে কথা দেন।

জানা যায়,জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা করান তার দরিদ্র রিক্সা চালক বাবা ইদ্রিস আলী। রিক্সা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করা ইদ্রিস এখন সর্বস্বান্ত। মেয়ের চিকিৎসা করাতে ধার-কর্জ আর রিক্সা বিক্রি করে এবং অনেকের সহায়তায় অন্তত ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। খাদিজাকে বাঁচাতে আরো টাকার প্রয়োজন। মেয়ের যন্ত্রনা ও বেঁচে থাকার আর্তনাদে ও অসহায় রিক্সা চালক ইদ্রিস আলী মানবিক সহযোগিতা পেয়ে আনন্দে কেদে ফেলেন। তিনি দু’হাত তুলে আল্লাহ্’র কাছে মোনাজাত করেন।
ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, সবই তো আল্লাহ্’র ইচ্ছা। কাউকে সহযোগিতা করতে পারলে আমি অনেক আনন্দ পাই। আমারও তো সন্তান আছে কারো না কারো দোয়ার ফজিলতে আমার সন্তানেরতো আল্লাহ্’র রহমতের ছায়ায় থাকতে পারে।
তিনি ভূপেন হাজারিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মানুষ তো মানুষেরই জন্য’। কারো একটু সহযোগিতা দূর্বলকে যোগায় শক্তি, দিশেহারাকে দেখায় পথ, অন্ধকারে জ্বালায় আলোর মশাল।হতাশা, ব্যর্থতার অনুভুতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন একটু সহযোগিতাই হয় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একমাত্র সম্বল।

আপনার মতামত জানান