শিশুর কৃমি প্রতিরোধে করণীয় |
♦ জন্মের পর প্রথম ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো ছাড়া শিশুকে অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। এ সময় অন্য কোনো খাবার বা পানীয়ের আদৌ প্রয়োজন নেই। ছয় মাস বয়স হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করে খেতে দিতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, শিশুর খাবার যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি হয়।
♦ পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির ব্যবহার করতে হবে। পানের পানি তো বটেই, ধোয়ামোছা, রান্না ইত্যাদি কাজেও বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে কখনোই দূষিত বা আধাসিদ্ধ পানি ব্যবহার করা যাবে না।
♦ পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে এবং খাবার গ্রহণের আগে ও মল ত্যাগের পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
♦ সেনিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবহার করতে হবে।
♦ নিয়মিত গোসল করতে হবে। পরিষ্কার জামাকাপড় পরা এবং নখ বড় হওয়ার আগে অবশ্যই কেটে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুদের নখও পরিষ্কার করতে হবে। নখ বড় হলে কেটে দিতে হবে।
♦ অর্ধসিদ্ধ মাংস খাওয়া যাবে না।
♦ খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
♦ প্রতি চার মাস পর পর পরিবারের সবাইকে বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রার কৃমির ওষুধ সেবন করাতে হবে। কেননা বাড়ির একজনের কৃমি থাকলে সবারই সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়ির সবাইকে কৃমির ওষুধ সেবন করাতে হবে।
সুত্র-কালের কণ্ঠ
আপনার মতামত জানান