শিগগিরই দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত

দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার রোষের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান। গণভবন থেকে পালানোর আগে জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছাত্র জনতা তার বাড়ির কাছে পৌঁছে যাওয়ায় সেই সুযোগ পাননি। এরবদলে নিরাপত্তাবাহিনী তাকে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে ৪৫ মিনিট সময় বেধে দেয়।

তবে দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা নাকি বলে গেছেন তিনি আবারও দ্রুত ফিরে আসবেন। হাসিনার এক ঘনিষ্ট সহযোগী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

হাসিনা বলেছেন, “আশা হারাবেন না। আমি শিগগিরই ফিরে আসব। আমি হেরে গেছি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জিতেছে। যাদের জন্য আমার বাবা ও পরিবার নিহত হয়েছে।”

এদিকে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সাতদিন পর নিরবতা ভেঙেছেন শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন হাসিনা। বার্তাটি দ্য প্রিন্ট দেখেছে বলে দাবি করেছে।

সেখানে হাসিনা বলেছেন, “আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন এবং বঙ্গোপসাগর আমেরিকার কাছে ছেড়ে দিতাম। আমি পদত্যাগ করেছি যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। তারা আপনাদের (ছাত্রদের) লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, আমি তা করতে দেইনি। হয়তো আজ যদি আমি দেশে থাকতাম তাহলে আরও প্রাণহানি হতো, আরও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত।”

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহব্যাপী ছাত্র বিক্ষোভে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অন্যান্য আরও দেশ শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকায় নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে ওয়াশিংটন বলেছে, এই সরকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে তারা আশা করে।

সূত্র: নিউজ নাউ

আপনার মতামত জানান