রোজায় বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার!!
রোজায় বুক জ্বালাপোড় ও গ্যাস্ট্রিক খুব সাধারণ একটি বিষয়। ইফতারে সাধারণত খাদ্যাভাস, সুষম উপাদানের পরিবর্তে বেশি ভাজাপোড়া খেলে এ সমস্যা দেখা দেয়। রোজা থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে কী করতে হবে- আলোচনায় জানিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ।
রোজা থাকাকালীন শেষ বিকালে অনেকের বমি বমি ভাব দেখা দেয়। সারা দিন অনাহার বা উপবাসের কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। মূলত পেটে জমে থাকা এসিড বের হওয়ার কারণে এমনটি হয়। এজন্য পেটে সমস্যা তৈরি করে এমন খাবার গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে ওমিপ্রাজল খাওয়া যেতে পারে।
রোজায় বুক জ্বালা-পোড়া রোধে করণীয় বিষয়ে অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, বুক জ্বালাপোড়াকে চিকিৎসা বিদ্যার পরিভাষায় রিপ্যাক্স সিনড্রোম বলা হয়। আর এটির কারণে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হলে তাকে আমরা রিপ্যাক্স ডিজিজ বলে থাকি। এ রোগের প্রধান উপসর্গ বুক জ্বালাপোড়া করা। বুকে ব্যথা হয়, মুখে পানি আসে। টক পানি আসে। অনেক সময় হৃদরোগের ব্যথার সাথে এ ব্যথার মিল পাওয়া যায়। এজন্য অনেক সময় ভীতির কারণ হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, এ সমস্যা হলে চিকিৎসার আগে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। এজন্য অতিরিক্ত তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ও ফ্রাইড খাবার পরিহার করা দরকার। আরও কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। তাহলো- একবারে পেটভর্তি খাওয়া যাবে না। অল্প পরিমাণে বারবার খেতে হবে। খাওয়ার সাথে সাথে পানি পান করা ঠিক না। কিছুক্ষণ পরে পান করতে হবে।
অনেকের অভ্যেস খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে পড়া। এটা করা যাবে না। খাবার গ্রহণের অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যেতে হবে। এর পাশাপাশি ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেলে উপকার হবে। এর মধ্যে আমরা এক্সিয়াম মাপস খাওয়ার পরামর্শ দেই, এটি খুবই কার্যকর। ওষুধটি সকাল-বিকাল দুটি করে খেলে স্বস্তিতে থাকা সম্ভব হবে।
সূত্র: ডক্টর টিভি
আপনার মতামত জানান