রেজাউল ও লিয়াকতের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
‘দুই নেতার দলবদলে জাপায় আনন্দ’ শিরোনামে অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে একটি কুচক্রিমহল রেজাউল করিম ও লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবী করে এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদের বিষয়ে তারা বলেন, আমরা সোনারগাঁয়ের স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান। রাজনৈতিক পালাবদল করে ক্ষমতা দেখানোর ইতিহাস আমাদের নেই। আমরা সবসময়ই এলাকার সকলের সাথে মিলেমিলে সুখেদুখে সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কোন রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে আমরা কোন ধরনের অনিয়ম কিংবা ক্ষমতা প্রদর্শন করিনি। উল্টো আমাদের নাম ভাঙিয়ে পৌরসভায় নিজেদের শক্তিশালী করতে একটি বিপদগামী দল আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমরা শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ে কোন ধরনের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এমন প্রমান কেউ দিতে পারবে না।
সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের একজন তৃণমূল নেতা জানান, মাহফুজুর রহমান কালাম উপজেলা আওয়ামী লীগে না থাকলেও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে যারা পবিত্র কোরআন শরীফ ছুয়ে শপথ করে মাহফুজুর রহমান কালামকে নৌকার নির্বাচন করতে মাঠে নামিয়েছিলেন তাদের মুখে এমন কথা মানায় না। পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে শপথ করে যারা বেইমানি করেছে তারা মাঠে আছে নাকি মাহফুজুর রহমান কালাম মাঠে আছে?
খবর নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সোনারাগাঁ নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মী শূন্য জাতীয় পার্টি স্থানীয় বিএনপি, জামাত ও হামলা মামলার আসামীদের মরিয়া হয়ে দলে টেনেছেন। অথচ জাতীয় পার্টির পরিক্ষীত নেতা কর্মীদের অবমূল্যায়ন করে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। বিএনপির চিহ্নিত অপরাধীদের দিয়ে দল সাজিয়ে শিল্পঞ্চলে নিজেদের দখলদারি ও টেন্ডারবাজি করতে মিরয়া হয়ে উঠেছিলেন।
জাতীয় পার্টির পরীক্ষিত এক নেতা বলেন, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমরা এখন শান্তিতে আছি, আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী মামলা ও হেফাজতের তকমা যোগ হয়নি। যারা লোভে পড়ে হেফাজত নেতাদের দলে টেনে মিটিং মিছিল করে লুটপাট করতে আমাদের বঞ্চিত করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন তারা এখন বাড়িছাড়া।
এ বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, জাতীয় পার্টি নয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস থেকেই আমরা আওয়ামী লীগকে ভালবাসি। তিনি আরো বলেন, আমরা বিতর্কিত কোনও কাজের সাথে কখনো জড়িত ছিলাম না। আমরা যে কোন মঞ্চে গেলে এখনো শতশত কর্মী হাজির হয়। এটা সম্ভব হয়েছে সুনাম আর ভালবাসার কারনে। বিতর্কিত কোন নেতাকে কেউ পছন্দ করে না এটাই ইতিহাস।
লিয়াকত আলী বলেন, আমি ছোটকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি এবং মনেপ্রাণে ভালবাসি।
প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে তারা বলেন, যাদের রুচিবোধ ও আত্ম সম্মান নেই তারাই এমন কুরুচিপূর্ণ তথ্য দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং অসত্য সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং জাতির বিবেক বলে পরিচিত সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো কারো দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে সত্য অনুসন্ধান করে সংবাদ প্রকাশ করুন। আপনাদের হাজারো সত্য সংবাদ যেমন জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, জাতিকে বিপদগামী করতে একটি ভ্রান্ত সংবাদই যথেষ্ঠ।
আপনার মতামত জানান