রাসেলদের হাতেই সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ

প্রকাশিত



দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে রাসেল নামটি সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন রাসেল। হউক রাসেল মাহামুদ, রাসেল মাহমুদ কিংবা রাসেদুল ইসলাম রাসেল। কখনো সভাপতি আবার কখনো সাধারন সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোনারগাঁ উপজেলক ছাত্রলীগকে। এ সময় তাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ হয়েছে প্রশংসিত হয়েছে বিতর্কিতও।

গতকাল ৩১ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদুল ইসলাম রাসেল, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগরের নাম ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন কমিটিতে নিজেদের সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতা হিসেবে প্রমান করবেন সে প্রত্যাশা সকলের।

 

২০১২ সাল থেকে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগে রাসেল যুগের শুরু হয়। ২০১২-২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাসেল মাহামুদ ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে নূরে আলম খান সফলতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাসেল মাহামুদের নেতৃত্বে সোনারগাঁয়ের ছাত্রলীগ একটি স্বর্ণযুগ অতিক্রম করেছে। বর্তমানেও তিনি রাজপথের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছেন। দলীয় প্রতিটি মিটিং মিছিল সফল করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাসেল মাহমুদ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও সফলতা ও কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলীয় একাধিক সুত্র। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে ২০১২-২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফলতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সোনারগাঁ উপজেলার একাধিক নেতা জানান, একজন ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে রাসেল মাহমুদকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে উপজেলার সকল তৃণমূল নেতা কর্মীরা যোগ্য নেতৃত্ব পাবে।

২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে হাসান রাশেদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এ দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগ অছাত্রদের দখলে ছিল বলে মনে করেন একাধিক ছাত্রনেতা। দলীয় কোন কার্যক্রমে তাদের খুব একটা দেখা মিলত না। বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগের আদর্শকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কখনো জাতীয় পার্টির বি-টিম হিসেবে কাজ করার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। দখলবাজী, টেন্ডারবাজী, মারামারি ও অন্যের জমি দখলেরও অভিযোগ আছে। তাদের সময়ে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ একটি কালো অধ্যায় পার করেছেন বলে জানান ছাত্রনেতারা।

ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহামুদ বলেন, ঐ কমিটিতে কারোরই ছাত্রত্ব না থাকায় রাজনৈতিকভাবে তাঁদের উপজেলার সর্বত্র পরিচিতি ছিল না। তাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। নিজেদের স্বার্থে ছাত্রলীগের পদ-পদবী ব্যবহার করেছে। নতুন কমিটির কাছে আমাদের চাওয়া অনেক। তাঁর মধ্যে অন্যতম ছাত্রলীগের সকল বিতর্ক পিছনে ফেলে সুনাম ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনবে।


উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদুল ইসলাম রাসেল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ ছাত্রলীগের সকলকে, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সিনিয়র সহসভাপতি সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। পুর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রসমাজের লক্ষ্য যাঁরা পূরণ করতে পারবেন এবং অছাত্র নয় কেবলমাত্র ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।’


প্রসঙ্গত, সংগঠনটি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আপনার মতামত জানান