রফিকুল ইসলাম নান্নু উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থ
সোনারগাঁয়ের মাটি ও মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুতে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের আসনটি বর্তমানে শূন্য। এই উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের তরুণ রাজনীতিবিদ, হেফাজতের ভীত কাঁপানো নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম নান্নুকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় সোনারগাঁবাসী।
নির্বাচনী ইশতেহার দূরে থাকলেও প্রতিনিয়ত নান্নুর বাড়িতে ভীর করছেন সাধারন মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবী সোনারগাঁয়ে নান্নুর মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব খুব বেশী প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ যখন বঞ্চিত অবহেলিত ছিল ঠিক তখনই নান্নুর সাহসী ভুমিকায় সকল অপশক্তি দুর হয়েছে। শুধু তাই নয় মামুনুল হককে নারী সহ আটকের পর দেশ থেকে ধর্মীয় উগ্রতা ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটেছে। হেফাজতের নেতাকর্মী ও কটি কুচক্রী মহল নান্নু বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরসহ তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত গাড়িটিও পুড়িয়ে দিয়েছে।
তরুণ এই সমাজকর্মী এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই মহামারী করোনাকালে এলাকায় তার কাজ চোখে পড়ার মতো। রফিকুল ইসলাম নান্নুর রাজনীতিতে হাতেখড়ি জাতির পিতার আদর্শে গড়া ছাত্রলীগ দিয়ে। একটি শাণিত চেতনা বুকে নিয়েই নান্নু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে লড়ছেন প্রায় তিন দশক।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিক বলতে যাদের বোঝায়-নান্নু তাদের অন্যতম উদাহরণ। বর্তমানে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনের অত্যন্ত স্নেহে রাজনীতির মাঠে বেড়ে উঠেছেন তিনি।
৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নান্নুর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী। জেল-জুলুম পরোয়া না করে তিনি শেখ হাসিনার নির্দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন নির্ভীক প্রহরী হিসেবে। ১৯৯১-১৯৯৪ সময়ের ক্ষমতাসীন বিএনপির সকল অনিয়ম-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই হীনতম গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে কায়সার হাসনাতের নির্দেশে যে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়-তা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই উত্তাল সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। রফিকুল ইসলাম নান্নু আমাদের তরুণ সমাজসেবকদের আইকন।
সোনারগাঁবাসী দেখেছে, যেখানেই গণ-প্রয়োজন, সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রফিকুল ইসলাম নান্নু। এই করোনাকালে এলকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দু’হাত খুলে। একজন আধুনিক মননশীল রাজনীতিকের এই কর্মযজ্ঞ অবশ্যই অনুসরণীয়।
সোনারগাঁয়ের তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন আগামীর এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ্য প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম নান্নু। তাই তাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সময়ের সঠিক সিদ্বান্ত।
আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমার পথপ্রদর্শক ও বটবৃক্ষের ছায়া দিয়ে যিনি আমাকে আগলে রেখেছেন সেই মহাননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনের শোক বয়ে বেড়াচ্ছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা এখনো ভাবছি না। আমি জানি সদ্যপ্রয়াত আদর্শবান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনের শূন্যস্থান পূরণ করা অসম্ভব। তবু নেতাকর্মীরা আমাকে নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে। সোনারগাঁয়ের উন্নয়নের জন্য আমি আমার জীবনবাঁজী রাখতেও প্রস্তুত।
আপনার মতামত জানান