মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন
বিশেষ প্রতিবেদন, ডেইলি সোনারগাঁ :
সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ সালে সোনারগাঁ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডেও গোবিন্দপুর গ্রামের সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।
গাজী মুজিবুর রহমানের পিতা আলহাজ¦ গাজী আকরাম আলী একজন বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক। তিনি আমিনপুর ইউনিয়নের (বর্তমান পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত। আলহাজ¦ গাজী আকরাম আলী ১৯৬৬ হইতে ১৯৭৯ সনে আমিনপুর ইউনিয়নের (বর্তমান সোনারগাঁ পৌরসভা) আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৭ সালে গঠিত নতুন কমিটিতেও সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ছোট ভাই গাজী আতাউর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা শাখার তাঁতীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িতরত্ব আছে। ছোট ভাই গাজী ওমর ফারুক সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠনের সোনারগাঁ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক পদে দায়িত্বরত আছে। এছাড়াও পরিবারের আরেক সদস্য ইসমত আরা সোনারগাঁ পৌরসভা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। ইসমত আরা হলেন ছোট ভাই গাজী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। আওয়ামী পরিবার হওয়ায় জামাত সমর্থিত বিএনপি ৪ দলীয় জোট ২০০১ সালে নির্বাচনের পর গাজী মুজিবুর রহমানের পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।
১৯৮৫ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে গাজী মুজিবুর রহমানের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নানা চড়াই উৎড়াই, জেল জুলুম অতিক্রম করে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এখনো রাজপথের অতন্ত্রপ্রহরী হিসেবে কাজ করছেন।
১৯৯১ সালে ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এম.পি প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত সাহেবের সাথে দলের জন্য স্বক্রীয় ভূমিকা রেখে কাজ করছেন।
২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের এম.পি প্রার্থীর পক্ষে দলের হয়ে কাজ করেছেন।
২০০৩ সালে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ সালে ৯ই জুন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে আমি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত র্দীঘ ১১(এগার) বছর দায়িত্বে থেকে যুবলীগকে কোন ধরনের টেন্ডার বাজি, চাঁদা বাজি, চর দখল ও জায়গা জমি দখলে কোন ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন না এবং পৌরসভার ও ইউনিয়নের নেতা কর্মিদের কোন ধরনের বেআইনি আবদারে তিনি কখনো সারা দেননি।
গাজী মুজিবুর রহমান সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি থাকাকালীন সময় দলের সুনাম রক্ষার জন্য তিনি সব সময় কাজ করেছেন এবং এখনো দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন।
২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকার পতনের আন্দলনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে লগি বৈঠার আন্দোলনে সোনারগাঁও যুবলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে আন্দোলনে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামাত ৪ দলীয় জোট নির্বাচিত হওয়ার পর ০৪ অক্টোবর/২০০১ সালে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল বিএনপি-জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিমের নিদের্শে গাজী মুজিবুর রহমানের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় এবং বিভিন্ন সময়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের সবাইকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আসামী করা হয়। তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকার গাজী মুজিবুর রহমানের বাবা এবং দুই ভাইকে গ্রেফতার করে। পরে থানায় নিয়ে তাঁর বাবাকে ছেড়ে দিলেও ভাই গাজী হাবিবুর রহমান ও গাজী ওমর ফারুক কে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকার পতনের আন্দলনে গাজী মুজিবুর রহমানকে ৮টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়। পুলিশ হত্যা মামলা, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে রেকার গাড়ী পুড়ানো মামলা, মেঘনা টোল প্লাজায় গাড়ী ভাংচুর সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাঁর বাড়িতে পুলিশি হয়রানী চলমান ছিল (২০০১ সন হইতে ২০০৬ সন পর্যন্ত)।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ সভা এবং সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডে যুবলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করার সময় হামলার শিকার হয়েছেন।
১/১১তে ২০০৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর মুক্তির দাবীতে যুবলীগের নেতা কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম এর কুশপুত্তলিকা দাহ ও মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া ও পালটা ধাওয়া হয় এবং প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিমের নিদের্শে গাজী মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব আবুল হাসনাত সাহেবের সুযোগ্য পুত্র সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সাহেব কে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করায় জনাব গাজী মুজিবুর রহমান তৃনমূল পর্যায়ে সোনারাগাঁ উপজেলা যুবলীগের প্রত্যেকটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কাঁচপুর ঐতিহাসিক বালুর মাঠে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন সভায় ব্যাপক শোডাউন নিয়ে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস সামনে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় যুবলীগের উদ্যেগে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় এবং উক্ত জনসভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সাহেব এবং সভাপতিত্ত্ব করেন গাজী মুজিবুর রহমান।
২০১১ সালের ১৭ই জানুয়ারিতে তত কালীন সাংসদ আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত দলীয় প্রার্থী হিসাবে গাজী মুজিবুর রহমানকে মনোনীত করে এবং তিনি মহাজোটের মনোনীত সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সেই নির্বাচনে গভীর ষড়যন্ত্র করে বিএনপি জামাতের মনোনীত বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমানের কাছে মাত্র ৫৫৫ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
২০১৫ সালে আবার তিনি সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোয়ন চাইলেও মনোয়ন পাননি। তিনি মনোয়ন না পেলেও নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে তিনি সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সাথে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রীয় ভূমিকা পালন করেন।
২০২০ সালে মহামারী করোনায় গাজী মুজিবুর রহমান তার নিজস্ব অর্থায়নে সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আবদুল্লা আল কায়সার হাসনাত ও উপজেলা চেয়াম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন কে সঙ্গে নিয়ে সোনারগাঁ পৌরসভায় গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরন এবং সোনরগাঁ পৌরসভার মহামারী করোনায় সচেতনতামূলক পোস্টার, বেনার এবং লিফলেট বিতরন করেন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে সোনারগাঁ পৌরসভার গরীব ও অসহায় ৮০০ পরিবারের মাঝে ত্রান ও ঈদ সামগ্রী বিতরন সহ বিভিন্ন সময়ে অসহায়ের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানেও মহামারী করোনায় সোনারগাঁ পৌরসভার গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর থেকে প্রত্যেকটি উপজেলা নির্বাচনে যাকেই দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে তার পক্ষেই মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন।
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন নেতা কর্মীদের নিয়ে সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সাথে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন পালন করেন।
গাজী মুজিবুর রহমান বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের রাজনীতিতে সক্রীয় আছেন। তিনি ৬ বছর যাবত সুনামের সহিত সোনারগাঁ থানার কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান ডেইলি সোনারগাঁ’কে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার দেশপ্রেম কর্মদক্ষতা, মানবতার সেবা, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় অসামান্য অবদান রেখে আজ বিশ^নেত্রীত্বের অন্যতম কর্ণধার হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর দেখানো উন্নয়নের পথে হাটছে গোটাবিশ^। ইতোমধ্যে তিনি তার নেত্রীত্ব, মেধা ও বিচক্ষনতার সম্মান হিসেবে দেশ বিদেশ থেকে ৩৯টি সম্মাননা পদকে ভুষিত হয়েছেন। আমার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধু কর্মী, আমি আমার বাবার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে জেনেছি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সর্ম্পকে জেনেছি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মানে জনগণের দল, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার মানে বাংলাদেশের উন্নয়নের সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার মানে বাংলাদেশ জনগণের ভাত ও ভোট অধিকার রক্ষার সরকার।
আপনার মতামত জানান