নারায়ণগঞ্জে মেয়ের লাশ নিয়ে থানায় মা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রুমা (১৭) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন তার মা। এ ঘটনায় রুমার বান্ধবী টুম্পাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মে) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রুমা কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার গনেশপুর এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের মুনলাইট গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর নয়াআটি এলাকায় আমির পাগলার ভাড়া বাসায় মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতরের দিন রাতে রুমা তার বান্ধবী টুম্পার বাসায় বেড়াতে যায়। শুক্রবার (১৪) মে দিবাগত রাত ৪ টার দিকে সেখানে সে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই বান্ধবী রুমার পরিবারকে খবর দেয়ার পর লাশ নিয়ে থানায় হাজির হন তার মা রহিমা।
রুমার মা রহিমার দাবি, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চান।
তিনি জানান, রুমার সঙ্গে টুম্পা নামে একটি মেয়ে কাজ করতো। সে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় থাকে। গত ১২ মে বেতন পাওয়ার পর রুমা আর বাসায় আসেনি। পরে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ঈদের আগের দিন রাতে রুমা তার মায়ের বাসায় যান। এ সময় তার মা তাকে বেতনের টাকার কথা জিজ্ঞেস করলে বলে টুম্পা আপুর কাছে আছে। আমি ঈদের দিন সকালে আসবো। একথা বলে সে আবার পাঠানটুলি টুম্পার বাসায় চলে যায়। পরে ঈদের দিন মধ্য রাতে টুম্পা তার মাকে ফোন দিয়ে রুমার অবস্থা খারাপ বলে জানায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বান্ধবী টুম্পাকে আটক করা হয়েছে।
আপনার মতামত জানান