মিমের দাম পাঁচ লাখ ডলার!
২০০৫ সালে জোই রথের বয়স ছিল চার বছর। তখন বাবা ডেভের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত আগুন লাগিয়ে কিভাবে নষ্ট বাড়ি ধ্বংস হয় তা দেখতে গিয়েছিল। সে সময় ডেভ তাঁর মেয়ের একটি ছবি তোলেন—যেখানে জোইর অভিব্যক্তিতে দুষ্টামির ছাপ স্পষ্ট। ছবিটি পরে ২০০৮ সালে এক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়ার পর ইন্টারনেটে ভাইরাল হতে শুরু করে। প্রচুর মিম তৈরি হয় ছবিটি দিয়ে, মিমের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। আর এই মিম পরিচিতি পায় ‘ডিজাস্টার গার্ল’ হিসেবে। মিম ফরম্যাট হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় ছবিটি জোই সম্প্রতি ‘এনএফটি’তে পরিণত করে সেটির স্বত্ব নিলামে তুলেছিলেন। মিমটির স্বত্বের মূল্য উঠেছে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার।
ব্লকচেইন প্রযুক্তির নতুন এক দিগন্ত নন-ফানজিবল টোকেন বা ‘এনএফটি’। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো ফাইল এমনভাবে তৈরি করা যাবে, যাতে সে ফাইলটির মালিক শুধু একজন ব্যক্তিই হবেন, অন্য কেউ সেটার কপি তৈরি করলেও তা নকল হিসেবে গণ্য করা হবে। এনএফটি যেহেতু কপি করা সম্ভব নয়, তাই প্রতিটি এনএফটি ফাইলের মূল্যও বেশ চড়া। এখন বেশ কিছু জনপ্রিয় মিম ছবি এনএফটি করে বিক্রি করা শুরু হয়েছে, যার সর্বশেষগুলোর এই ‘ডিজাস্টার গার্ল’।
শেষ পর্যন্ত থ্রিমিউজিক নামের এক সংগ্রহকারী ছবিটি ১৮০ ইথেরিয়ামের (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনিময় কিনে নেন, যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার। তবে ছবিটির বিক্রয়স্বত্ব ছেড়ে দিলেও তার কপিরাইট ছাড়েননি জোই রথ, ভবিষ্যতে ছবিটি যদি আবারও নিলাম হয় তাহলে সেখান থেকেও তিনি ১০ শতাংশ বিক্রয়মূল্য পাবেন।
তাঁর ছবি লাখ লাখ মিমচিত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জোই বলেছেন, তাঁর কাছে বিষয়টি বেশ মজারই মনে হয়েছে। কিন্তু আসলেই আগুন দেখে মজা পেয়ে ছবিতে সেই অভিব্যক্তি দিয়েছিলেন কি না, এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি।
ভবিষ্যতেও জোই এ ছবি থেকে বেশ ভালো পরিমাণ লাভবান হবেন বলেই বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।
আপনার মতামত জানান