মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে হত্যার হুমকি এক নারীর
ফ্লোরিডার এক নারীর বিরুদ্ধে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায় সেই নারীর নাম নিভিয়ান পেটিট ফেল্পস।
সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট অব ফ্লোরিডায় দায়ের করা মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, নিভিয়ান পেটিট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
একটি ভিডিওতে নিভিয়ান পেটিট মৃত্যুর হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী কমলা হ্যারিস। এখন তোমার মৃত্যু সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
নিভিয়ান কারাগারে আটক তাঁর স্বামীর কাছে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে হুমকি দেওয়া ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন। কারাগারে আটক লোকজনের সঙ্গে বাইরের লোকজনের যোগাযোগের জন্য নির্মিত ‘জেপে’ নামের অ্যাপসের মাধ্যমে তিনি এই ভিডিও বার্তা পাঠান।
নিভিয়ানের ভিডিওর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলে স্পেশাল এজেন্ট ডেভিড বেলেঙ্গার এ নিয়ে তদন্ত করেন। পরে হুমকির প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি মামলা করেন।
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হুমকিদাতা নিভিয়ান গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক ভিডিও বার্তায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঈশ্বরের নামে শপথ করছি, আজ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে তোমার মৃত্যু হবে।
এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি নিভিয়ান একটি বিশেষ আগ্নেয়াস্ত্রের পারমিটের জন্য আবেদন করেন।
হুমকিদাতা নারী নিভিয়ানের ওপর নজরদারি চালু রাখা হয়েছিল। ৩ মার্চ এক গোয়েন্দা সদস্য তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করেন। এর দুই দিন পর পুলিশকে নিভিয়ান জানান, কর্মক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
নিভিয়ান ৬ মার্চ পুলিশকে বলেন, তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওপর ক্ষুব্ধ থাকলেও এখন সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কেউ একজন নিভিয়ানকে বলেছিল, কমলা হ্যারিস প্রকৃত অর্থে একজন কৃষ্ণাঙ্গ নন। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের সময় তিনি বাইবেলে হাত না রেখে অন্যত্র হাত রেখেছেন।
কৃষ্ণাঙ্গ বাবা ও ভারতীয় মায়ের সন্তান কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে এমন প্রচারণা চলছে। কমলা হ্যারিস সর্বদা নিজেকে একজন কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবেই পরিচয় দিয়ে আসছেন। যদিও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বণবাদী সমর্থকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছে। এখনও এমন প্রচারণা এখনো অব্যাহত আছে বলে জানা যায়।
আপনার মতামত জানান