মান্নার প্রশ্ন, মজনু কি সত্যিই ধর্ষক?
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আটক মজনুকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষের কাছে প্রশ্ন উঠেছে, যে ধর্ষণ করল তাকে গ্রেপ্তারের পর তার ছবি দেখে, চেহারা দেখে, সামনে দুইটা দাঁত নাই- এ রকমের একটা বিদঘুটে অবস্থা- এই লোকটাই কি সত্যি ধর্ষক? সোশাল মিডিয়াতে প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন।
মান্না বলেন, সাধারণ যে কাউকে জিজ্ঞাসা করেন, ওই রকমের একটা দুর্বল শরীরের মানুষ একটা মেয়েকে ধরে একা একা ধর্ষণ করতে পারে? কোনো মেয়ে যদি মনে করে আমি ধর্ষণ করতে দেব না, একা কোনো মানুষ, আসলে এটা কি সম্ভব?
মান্না প্রশ্ন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলছেন, আমি নিজে গেলাম, দেখলাম, কথা বললাম, সে তো বলছে যে ওকে সে শনাক্ত করেছে, সে চেনে। আমি বলি ওই অধ্যাপক কে? উনি কোন দল করেন? কোন দলের সাথে যুক্ত আছেন? দল যদি করেন মিথ্যুকদের দল ওটা। যারা গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট আগের রাতে করে ফেলতে পারে, তাদের দেওয়া সাক্ষী আমি নিতে যাব কেন?
মান্না বলেন, যেই রাত্রে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কাক-পক্ষী জানেনি। সেই মেয়েটি বাইরে এসে রিকশায় চড়ে তখন তার গন্তব্যে যাচ্ছে পত্রিকায় পড়েছি। সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গেইটগুলোতে একটার পর একটা ছাত্রলীগের জমায়েত কীভাবে হলো? যে-ই ছাত্রলীগ গত ১৫-২০ দিন ধরে ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না তারা পরদিন সকাল বেলা ধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল বের করল, এত বড় সমাজ হিতৈশী ছাত্রলীগকে গত কয়েক বছর ধরে দেখছি না। তাই আমাদের প্রশ্ন।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করবার যে ষড়যন্ত্র করছেন, ছাত্র রাজনীতি র্ধ্বস করবার ষড়যন্ত্র করছেন, ডাকসুর ভিপিসহ সমস্ত ছাত্র নেতাদের যে রকম নির্দয়ভাবে প্রহার করেছেন- সেটা ধামাচাপা দেবার জন্য আবার নতুন নতুন ব্যবস্থা যদি করেন সেটাও মানা হবে না।
তিনি বলেন, এজন্য বলছি, আমরা নিরাপদ নই। এরা যে কোনো নাটক কখন কী কারণে সাজাচ্ছে, এটা খুবই একটা চিন্তার বিষয়। কোনো জজ মিয়া নাটক দেখতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, আমরা কেউ নিরাপদে নেই, সরকার কোন নাটক কোন সময় ঘটাচ্ছে তা একটি চিন্তার বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও ছাত্রলীগ কখনও এগিয়ে আসে না। অথচ ডাকসু ভিপি নুরুকে মারধরের পর সেই ছাত্রলীগ সকালবেলা ধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল বের করে। ছাত্র রাজনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মইন খান। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত জানান