মানবিক সহযোগিতা বাঁচাতে পারে শিশু খাদিজার জীবন

প্রকাশিত

খাদিজা আক্তারের ১০ বছরের জীবনের ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। সেটি সারাতে দেওয়া হচ্ছে কেমোথেরাপি। এমন যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে জীবন কাটাচ্ছে সে। আরও কতদিন এভাবে থাকতে হবে, তা জানে না কেউ।
জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটের ৩ নম্বর কক্ষের ৯ নম্বর বেডে এখন ভর্তি রয়েছে খাদিজা। সেখানেই তাকে দেওয়া হচ্ছে কেমোথেরাপি। জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এবং অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার।
খাদিজা আক্তারের পরিবার সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামে গরীবে নেওয়াজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন আমতল গ্রামে। তার বাবা ইদ্রিস আলী একজন রিক্সা চালক। রিক্সা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করা ইদ্রিস এখন সর্বস্বান্ত। মেয়ের চিকিৎসা করাতে ধার-কর্জ আর রিক্সা বিক্রি করে এবং অনেকের সহায়তায় অন্তত ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। খাদিজাকে বাঁচাতে আরো ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। মেয়ের যন্ত্রনা ও বেঁচে থাকার আর্তনাদে ও অসহায় রিক্সা চালক ইদ্রিস আলীর চোখ দিয়ে শুধু পানি গড়িতে পড়ছে।

খাদিজার বাবা জানান, থেরাপি দিতে অনেক টাকার দরকার। মেয়ের চিকিৎসা করতে করতে শেষ সম্বল রিক্সাটাও বিক্রি করে দিয়েছি এছাড়া অনেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। না হলে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যেত। তার চিকিৎসা চালাতে আরও অর্থের দরকার। টাকা না থাকায় হৃদরোগ ইস্টিটিউট খাদিজাকে পাঠিয়ে দেয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খাদিজার বাবা চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় ঢাকা মেডিক্যালে একদিন রেখে পরের দিন খাদিজাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তাই যদি কোনো হৃদয়বান খাদিজার চিকিৎসার এগিয়ে আসেন তাহলে হয়তো বাঁচতে পারে ফুটফুটে এই শিশুটি। খাদিজার বাবা ইদ্রিস আলী তার বিকাশ নম্বরে (০১৮৩৯ ২৭ ৬১ ১৩) মানবিক সহযোগিতার জন্য বিত্তবান ও মানবতাবাদী সমাজসেবকদের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান