‘মণি রত্নম’ এর জন্মদিন
মণি রত্নম ১৯৫৬ সালের ২ জুন তামিলনাড়ুর মাদুরাতে জন্মগ্রহণ করেন। মণি রত্নম সম্পর্কে এ আর রহমান বলেছেন, “সাফল্যের অহর্নিশ স্পর্শ পেতে পেতে যাঁরা এখনও ব্যর্থতার ঝুঁকি নিতে পারেন, মণি রত্নম তাঁদের একজন।”
ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গ এলেই হয়তো আদুর গোপালকৃষ্ণান বা অভিন্ন আখ্যা সর্বাগ্রে আসবে কিন্তু দক্ষিণী চলচ্চিত্রে মণি রত্নমের অবস্থান প্রকৃত অর্থেই সম্মোহন জাগানিয়া।
চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে মণি রত্নমের পরিচয় সম্ভবত নব্বই দশকের ‘রোজা’ ছবির মাধ্যমে। তামিল এ ছবির হিন্দি সংস্করণ বোধকরি এর মূল কারণ। মণি রত্নমের হিন্দি ভাষার ছবিতে প্রবেশ অবশ্য এরও প্রায় ছয় বছর পর, ১৯৯৮ সালে, ‘দিল সে’ ছবি দিয়ে।
কান্নাড়া ছবি ‘পাল্লাভি আনু পাল্লাভি’ (১৯৮৩) দিয়ে পরিচালনার সূত্রপাত ঘটলেও প্রতীক্ষিত সাফল্য জোটে পঞ্চম ছবিতে এসে, ‘মৌনা রাগাম’ (১৯৮৬) তৈরির মাধ্যমে। তামিল চলচ্চিত্রে ছবিটির অনাড়ম্বর নির্মাণশৈলী কিংবা বাস্তবিক গল্পকথন সত্যিই বিস্ময়। সেই বিস্ময়কে আরও দীর্ঘ করে ‘নায়াগান’ (১৯৮৭) ছবির টাইম ম্যাগাজিনে ‘সর্বকালের সেরা ১০০ ছবি’তে অন্তর্ভুক্তি।
‘গীতাঞ্জলী’ (১৯৮৯), ‘বম্বে’ (১৯৯৫), ‘ইরুভার’ (১৯৯৭), ‘আলাইপায়ুথে’ (২০০০), ‘কান্নাথিল মুথামিত্তাল’ (২০০২), ‘যুবা’ (২০০৪) কিংবা ‘গুরু’ (২০০৭) ছবির দ্যুতিতে মণি রত্নম চেনা আঙ্গিনা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্যুতিময়।
মণি রত্নম নিজেই বলেন ‘আমি মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা’, কিন্তু এ কথা হলফ করে বলে দেয়া যায়, প্রচলিত মূলধারার কোন উপাদানই তার ছবিতে সন্ধান করা অরণ্যে রোদন! এখানেই তিনি অনন্য। কিভাবে? মূলধারা এবং বিকল্পধারা নিয়ে চলচ্চিত্র-জিজ্ঞাসু মনের অস্পষ্টতাকে ছিন্নভিন্ন করে নতুন এক ধারার প্রণয়ন এনেছেন যাতে করে তার ছবিকে কোনভাবেই মূল বা বিকল্পধারা বলে নির্দিষ্ট করা যাবে না। কেন জানি না, সেখানেই মণি রত্নমের জয়।
সংগৃহীত
আপনার মতামত জানান