বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামীকাল সকাল থেকেই ভোটগ্রহন শুরু হবে । নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে নির্বাচন হবে দ্বিমূখী ও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ, এমনই মতামত দিয়েছেন বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের ভোটার ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা।
বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়, ২০১৬ সালের মতো এবারও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে এবার জয় পরাজয়ে বাড়তে পারে ভোটের ব্যবধান। জনমত জরিপে বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ ঘোড়া প্রতিক ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব সরকার আনারস প্রতিকে জয় পরাজয়ের মুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। অন্যদিকে এবার নৌকা প্রতিক নিয়ে আল আমিন সরকার তৃতীয় অবস্থানে থাকবে কিনা এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। যদি কোন রকম অঘটন কিংবা অলৌকিক কিছু না ঘটে তবে হাতপাখা প্রতিক নিয়ে মোঃ ইয়াসিন তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসতে পারেন বলে অনেকে ধারনা করছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন সমিকরন চলছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা বা নৌকার প্রার্থী জোড় করে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার হরন করবে এ শঙ্কায় রয়েছে নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ ও মাহবুব হোসেন সরকার। ইতিমধ্যে তারা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে এ ইউনিয়নের নির্বাচনের সবকটি কেন্দ্রই ঝুকিপূর্ন বলে চিহিৃত করেছেন রিটানিং কর্মকর্তা।
জানা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বাঁধা প্রদান, হামলা, সবার সামনে নৌকায় সিল দিতে ভোটারদের হুমকি, বহিরাগতদের আনাগোনা এবং সবশেষ নৌকা পুড়ানো মামলায় সাধারন মানুষদের হয়রানির অভিযোগের কারনে শেষ মূহুর্তে নৌকার ভোট কমেছে বেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীর জনসমর্থন।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আল আমিন সরকারের প্রতিদ্বন্ধী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাবুব হোসেন সরকার ও আব্দুর রউফ জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল আমিন সরকারকে জোর করে বিজয়ী করতে ভোট কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা করেছে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ নেতাদের গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- ভোটের দিন ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। যারা ভোট কেন্দ্র দখলের মুল মনিটরিং ও কেন্দ্র দখল করে বিপরীত পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রের বুথের ভেতরে বসিয়ে রেখে নৌকার পক্ষে সীল মারার ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তারা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের আশঙ্কার কারন হিসেবে বলেন, কেন্দ্র দখলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে হত্যা মামলার আসামি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও রয়েছে আওয়ামীলীগের শীর্ষ দু’একজন নেতার নাম।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফ উর রহমান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন থেকে সকল প্রকার কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পযাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে। কোন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সে কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে।
আপনার মতামত জানান