বৈদ্যেরবাজার এনএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারন চেয়ে ইউএনও বরাবর স্মারক

প্রকাশিত



সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
ভূয়া সনদে চাকরি, অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ এবং আওয়ামী রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে হুমকির অভিযোগে সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এনএএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল হোসেনের অপসারন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় সচেতন মহল।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ১৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার অপসারন চেয়েছেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, কামাল হোসেন ভূয়া সনদে ৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ২০১৯ সালে তিনি এমপিও ভুক্ত হন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিনি বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ টাকা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং আওয়ামী রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রি করে সে টাকাও আত্মসাৎ করেন। অতিরিক্ত উন্নয়ন ফি, পরিক্ষার ফি আদায়ের প্রতিবাদ করলে দলীয় প্রভাবে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরন করেন। তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষারমান তলানিতে পৌছায় বলে অভিযোগ করেন। তাঁর দুর্নীতির তদন্ত করে তারে অপসারনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার দাবী জানান।

এ ব্যাপারে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, কামাল স্যারের মতো ভুয়া সনদধারীদের জন্য শিক্ষকতার মতো মহান পেশা কলুষিত হচ্ছে। ভুয়া সনদধারী একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে জাতি কি আশা করতে পারে। তিনি তার অফিস কক্ষকে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে তার অফিসে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিয় করতেন। নানা সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আসলেও তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাপা দিতেন। তাঁর কাছে ৩১ লাখ টাকার হিসাব চাইলে তিনি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে পরিকল্পতভাবে নথিকক্ষে আগুন লাগিয়ে সব নথি পুড়িয়ে দেন। আমরা এ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবী করছি।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মতামত জানান