বেঁচে গেল কোলে থাকা সন্তান, সড়কে ছিটকে মারা গেলেন মা

প্রকাশিত



ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি রওনা দিয়েছিলেন সুবর্ণা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ। তার সঙ্গে ছিল ৩ সন্তান। কিন্তু বাবার বাড়ি পৌঁছানোর আগেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে মারা যান তিনি।

শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি-লিচুবাগান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দুর্ঘটনায় সুবর্ণা আক্তার মারা গেলেও তার আড়াই বছর বয়সের সন্তান রাইসাসহ ৩ সন্তান বেঁচে যায়। নিহত সুবর্ণা আক্তার শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের মেয়ে ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারি গ্রামের মো. শামীমের স্ত্রী। শনিবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে সুবর্ণার মৃত্যু হয়। একই হাসপাতালে তার মেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে সুবর্ণার পরিবারের লোকজন জানান, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে সুবর্ণা বাবার বাড়ি আসার সময় এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ সময় আড়াই বছর বয়সী মেয়ে মোসা. রাইসা তার কোলে ছিল। হঠাৎ তাদের বহন করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি সামনের আরেকটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে প্রচণ্ড গতিতে মোড় নেয়। এতে সুবর্ণা তার কোলের সন্তানসহ রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। সুবর্ণার কোলের সন্তানটিও আহত হয়। যদিও ভাগ্যক্রমে অটোরিকশায় থাকা তার অপর দুই সন্তানের কোনো ক্ষতি হয়নি। পরে স্থানীয়রা সুবর্ণা ও তার কোলে থাকা সন্তানকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১১টার দিকে সুবর্ণা মারা যান। সুবর্ণার অপর ২ সন্তান শ্রীপুরে নানা বাড়িতে আছে।

দুর্ঘটনার বিষয়ে শ্রীপুর থানায় কেউ এখনও অবগত করেনি বলে জানিয়েছেন এসআই কুদ্দুস মিয়া।

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়ে কেউ থানাকে অবগত করেনি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’


আপনার মতামত জানান