ফেসবুকে বজায় রাখুন আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

প্রকাশিত

বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। এটি এখন এতটাই জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত যে, একজন মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে ঘটা প্রায় ঘটনাই সেখানে তুলে ধরেন। অনেক সময় এমনও হয় যে, সব কিছু ফেসবুকে তুলে ধরার বিষয়টি তার পরিবারের সদস্য বা কাছের মানুষেরা সহজভাবে নিতে পারেন না।

আবার এমনও অনেক সময় হয় যে কোনো কিছু ‘পোস্ট’ করার পর সেখানে আসা কমেন্টগুলো ওই ব্যক্তিকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। এ ছাড়া কোনো কিছু ‘পোস্ট’ করার সময় পরিবারের মানুষ দেখলে তারা কী ভাববে সেটি নিয়ে চিন্তায় পড়ার বিষয়টিও অনেকেরই পরিচিত পরিস্থিতি।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট’ ড. গোয়ালি সায়েদি বোচ্চি বলেন, ‘ব্যক্তিগত আর পরিবারের জন্য আলাদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহারের মাধ্যমে মানসিকভাবে অনেক ভালো থাকা যায়। এতে পরিবারের মানুষগুলোর সঙ্গে যেমন যোগাযোগ বজায় থাকবে, তেমনি নতুন কোনো পোস্ট দেওয়া সময় কিংবা কৌতুক ‘শেয়ার’ করার সময় অনেকবার সেটি নিয়ে ভাবতে হবে না’।

‘ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, দুটি ‘অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার করতে যদি না চান, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার ‘অ্যাকাউন্ট’য়ের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’য়ে অত্যন্ত পারদর্শী হতে হবে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদিসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরমের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ আপনার ভালোভাবে জানতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত কোনো তথ্য বা মতামত প্রকাশের এ প্লাটফরমগুলোতে আপনাকে কে কতটুকু দেখতে পাচ্ছে সেটি জানার গুরুত্ব মোটেই কম নয়’।

শুধু পরিচিতদের সামনে আপনি কোনো ঘটনা প্রকাশ করতে চান না বা কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না চাওয়া ছাড়াও আপনার সব ধরনের ঘটনা সবার কাছে তুলে না ধরার মতও রয়েছে আরও অনেক কারণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি অনেকের সম্পর্কেই অনেক তথ্য জানতে পারবেন। সচরাচর দেখা হয় না বা কথা হয় না—এমন সব দূরের আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে এবং তাদের বিষয়ে জানতে সাহায্য করে মাধ্যমগুলো।

এ ছাড়া আপনি যদি সব দিকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারেন, তবে এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোই পরিচিতদের সঙ্গে বা পরিবারের সদস্যদের মাঝে সম্পর্ক গভীর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ রাখতে পারে।

সূত্রঃ যুগান্তর।

আপনার মতামত জানান