ফেসবুকে কমেন্ট নিয়ে বৈষম্যবিরোধী নেতার ওপর হামলা

প্রকাশিত





বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম সাকিবের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নেতার গোটা পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।


এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশও কাউকে আটক করতে পারেনি।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের কমেন্ট করা এবং ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়া পারাপারকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সাকিবের দাবি।

হামলায় আহত কে এম সাকিব (২৪) বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী গ্রামের বিল্লাল খলিফার ছেলে।


তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কে এম সাকিব জানান, শনিবার রাতে তাদের এলাকার একজন ইমাম খেয়া পারাপারের জন্য ঘাটে যান। এ সময় ট্রলার মালিকরা জানান, জনৈক জাহিদ ট্রলার চালাতে নিষেধ করেছেন। বিষয়টি শুনে ঘাটে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।

এরপর ছাত্রদল নেতা শাওন সেখানে এসে তাকে হুমকি দিতে থাকেন। কিছুক্ষন পরে ২৫ থেকে ৩০ জন লোক সেখানে ছুটে আসে এবং তাকে মারধর করে। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়েছে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়।

কে এম সাকিব জানান, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রনি নামে এলাকার একজন আন্দোলনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।

তিনি ওই পোস্টে কমেন্ট করেছিলেন। খেয়া পারাপারের বিষয় এবং ফেসবুকে পোস্টের জের ধরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সাকিবের দাবি।
কে এম সাকিবের অভিযোগ, হামলাকারীরা যাবার সময় তার হাত কেটে দেবে এবং পরিবারের সদস্যদের দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছে। এ অবস্থায় বাবা-মা এবং ভাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ডা. অসীম কুমার সমদ্দার জানান, আহত অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কে এম সাকিবকে শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। সাকিব শঙ্কামুক্ত।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, খবর পেয়ে তিনি নিজে শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে গিয়ে বাগেরহাট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম সাকিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলাকারীদের অধিকাংশের বাড়ি পার্শ্ববর্তী রামপাল উপজেলায়।

আপনার মতামত জানান