ফতুল্লায় দুই সহযোগীসহ ডাকাত আজমীর গ্রেফতার
ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়ক পথের পেশাদার ছিনতাইকারী, ফতুল্লা থানা পুলিশের অস্ত্র চুরি মামলার আসামী, পেশাদার অপরাধী, মাদক ব্যবসা, চুরি,ডাকাতিসহ নানা অপরাধের হোতা আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীর (২৫) কে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (১২মে) রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ দাপা মসজিদ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার শহিদ হোসেন ওরফে ডাকত শহিদের পুত্র আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীর(২২), একই এলাকার ওহাব কাজীর পুত্র আহাদ কাজী(২৩) ও রিপন কাজীর ভাড়াটিয়া সামছুল হকের পুত্র মানিক (২৪)।
এদিকে ডাকাত আজমীর গ্রেফতারের সংবাদে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শামীম,উপ-পরিদর্শক ওবায়েদ ও সহকারী উপ-পরিদর্শক সামছুল আলম বুধবার রাত দশটার দিকে দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমীর ওরফে ডাকাত আজমীর,মানিক ও আহাদ কাজীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের অস্ত্র চুরি, মাদক, ছিনতাই মামলাসহ নানা অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় বহু সংখ্যক অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ডাকাত আজমীর ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়ক পথে(দাপা থেকে পাগলা মেরী এন্ডার সন) নিয়মিত ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিবহন থেকে মালামাল চুরি করে করে থাকে।
ডাকাত আকমীরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশাল এক বাহিনী।তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর সদস্যরা ঢাকা-নারায়নগঞ্জ সড়ক পথে চলাচলরত বিভিন্ন মালবাহী পরিবহন থেকে মালামাল চুরি করে।
নদীর তীরে ওয়াক ওয়েতে তার বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত জন্ম দেয় ছিনতাইয়ের ঘটনা। সুযোগ বুঝে বিভিন্ন বাসা-ফ্ল্যাট বাড়ীতে প্রবেশ করে ডাকাতির ঘটনার মতো অপরাধের জন্ম দেয় ডাকাত আজমীর বাহিনীর সদস্যরা।
তাছাড়া ডাকাত আজমীর নেতৃত্বে প্রায় সময় নিরীহ মানুষদের কে প্রথমে টার্গেট করে পরে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়,মাদক ব্যবসা,অটোরিক্সা চুরি সহ নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে মানুষের জীবন-যাত্রাকে করে তুলেছিলো অসহনীয় যন্ত্রণাময়।
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ১৩ মে রাতে ফতুল্লা থানার তৎকালীন এএসআই সুমন কুমার সঙ্গীয় ফোর্স সহ দাপা ইদ্রাকপুরস্থ ওরিয়েন্টালের বালুর মাঠে নিয়মিত ডিউটি করাকালীন অবস্থায় কনস্টেবল সোহেল রানার সঙ্গে থাকা একটি রাইফেল চুরি করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একটি পুকুর থেকে চুরি যাওয়া রাইফেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে রাইফেল চুরির ঘটনায় আজমীর, পারভেজের (পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত) জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এ ঘটনায় মামলা হয় আজমীরের নামে। ঘটনার তিনদিন পর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় পারভেজ। এর মাসখানেক পর গ্রেফতার হয় আজমীর।
সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ২১ তারিখে চার সহযোগী ও চোরাই অটোরিক্সা সহ ফতুল্লা থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো ডাকাত আজমীর।ডাকাত আজমীরের বিরুদ্ধে মাদক,চুরি ছিনতাই সহ ফতুল্লা মডেল থানায় বহু সংখ্যক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
দুই সহযোগীসহ ডাকাত আজমীর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,গ্রেফতারকৃত ডাকাত আজমীর ও তার সহযোগীরা পেশাদার অপরাধী।
তারা চুরি,ডাকাতি,মাদক ব্যবসা,ছিনতাই সহ এহেন কোন অপরাধ নেই যা তারা করেনা। এ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানা পুলিশের অব্যহ্যাত থাকবে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত জানান