প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের, উৎসবমূখর সাধারন সদস্যরা

প্রকাশিত




নির্বাচনী মাঠ প্রতিদ্বন্দ্বিহীন করতেই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। নানা কৌশলে প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে চলছে বিভিন্ন মহল থেকে তদবীর। যে কোন উপায়ে নির্বাচনী মাঠ পরিস্কার করে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রতিটি ইউনিয়নের নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী, সমর্থক ও নীতিনির্ধাকরা। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৪২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গত ২ নভেম্বর মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সোনারগাঁ উপজেলা রিটানিং অফিসারের কাছে এ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাচন সামনে এলেই নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করতে মাঠে একশ্রেনীর জনবিচ্ছিন্ন নেতা। সারা বছর সাধারন মানুষের যোগাযোগ না থাকলেও তারা যোগাযোগ রাখেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে। শক্ত লবিং কিংবা অন্য কোন উপায়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে নৌকা প্রতিক বাগিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্ত জন সম্পৃক্ততা না থাকায় নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ম্যানেজ করার কৌশল শুরু করেন। আওয়ামী পদধারী নেতারা বহিস্কারের ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম দাখিল করছেন। আবার টাকা হাতিয়ে নিতে হঠাৎ করেই নির্বাচনী মাঠে নামেন এক শ্রেণির সুবিধাবাদী দল। তারা নির্বাচনের ফরম পূরণ করলেই চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাদের বসিয়ে দিতে আর্থিক সুবিধা দিচ্ছেন।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একাধিক নৌকা প্রত্যাশী থাকলেও মনোনয়নের পর দফায় দফায় মিটিং করে সমঝোতা করেছেন নৌকা মনোনীত প্রার্থীরা। এর পরও কাঁচপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৫জন, পিরোজপুর ইউনিয়নে ২জন, জামপুর ইউনিয়নে ৬জন, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৬জন, সনমান্দি ইউনিয়নে ৩জন, বারদী ইউনিয়নে ৩জন, শম্ভুপুরা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী সহ ৬জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সংরক্ষিত ও সাধারন পদে একাধিক প্রতিদ্ধদ্বী প্রার্থী থাকায় সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

জানা যায়, যারা দীর্ঘদিন যাবত জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে এলাকার উন্নয়ণ সহ করোনাকালীন সময়ে পাশে ছিলেন তাদের নির্বাচনী বৈতরনী পার করা খুব সহজ হবে। কিন্তু নতুন প্রার্থীদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের বিজয়ে কঠিন লড়াই হতে পারে।

সাধারন ভোটাররা ভোট দিতে উদগ্রীব থাকলেও প্রার্থীরা চাচ্ছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে। এতে ভোটারদের মধ্যে আক্ষেপ ও অধিকার হরণের সুর। একাধিক ভোটার জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে ভোটারদের যেমন মূল্যায়ন থাকে না তেমনি চেয়ারম্যানদেরও সম্মান থাকে না। তাদের প্রশ্ন, বিএনপি নির্বাচনে মাঠে নাই, দুর্বল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করতে প্রার্থীদের এত ভয় কেন?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি ইে হউক প্রশাসন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রস্তুত।

আপনার মতামত জানান