পুলিশ হেফাজতে আইন শিক্ষানবিশের মৃত্যু, বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন

প্রকাশিত



বরিশালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের হাতে আটকের তিনদিন পর আইন শিক্ষানবিশ রেজাউল করিমের (৩০) মৃত্যুর অভিযোগের ওপর বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। রেজাউল করিমের সহধর্মিনী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলে শুনানি করা হবে বলে জানান ওই আইনজীবী।

রেজাউল করিম পুলিশী হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ডিবি উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি বরিশাল মহানগর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন রেজাউল করিমের পিতা ইউনুস মুনশি। আদালত অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআইকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। এ অবস্থায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হলো।

আইনজীবী জানান, অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। তাই বাদীর আশংকা সঠিক তদন্ত নাও হতে পারে। তাদের ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

পুলিশের নির্যাতনের কারণেই রেজাউলের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে বরিশাল আদালতে করা অভিযোগে বলা হয়, ‘২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ খান সড়কের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে রেজাউল করিমকে আটক করেন এসআই মহিউদ্দিন আহমেদ। এরপর রেজাউলের কাছে দুজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম জানতে চান এসআই মহিউদ্দিন। কিন্তু রেজাউল নাম জানেনা বলে জানালে তাকে ধরে নিয়ে যায়। রেজাউলের পকেটে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পাওয়া গেছে-এই অভিযোগে তাকে আটক দেখানো হয়। এরপর রেজাউলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে আহত রেজাউলকে থানার মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১ জানুয়ারি বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।’

আপনার মতামত জানান