পার্থ গোপাল বণিকের স্ত্রী ৮০ লাখ টাকা ফেলে দিলেন
সিলেটের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার রাজধানীর ভূতেরগলি এলাকায় তার বাসায় অভিযান চালায় দুদক। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতেরগলি) ২৭-২৮১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান শুরু করে রোববার দুপুর ২টার দিকে।
দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ জানান, প্রায় ২ ঘণ্টা পার্থর স্ত্রী চিকিৎসক রতন মনি সাহা নানা টালবাহানা করেন। প্রথমে মুঠোফোনে বলেন, তিনি বাসায় নেই। মিরপুরে আছেন। সেখান থেকে ফিরতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে। অথচ সে সময় তিনি ফ্ল্যাটেই ছিলেন।
এরপর দুদক টিম বিকল্প পন্থায় ফ্ল্যাটে প্রবেশের কথা বললে রতন মনি সাহা নিজেই দরজা খুলে দেন। তবে ততক্ষণে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে পার্থর আয় করা ৮০ লাখ টাকা ২টি ব্যাগে ভরে পাশের বাসার ছাদে ফেলে দেন তিনি। পরে তাকে নিয়েই ওই টাকা উদ্ধার করা হয়।
পার্থ ও তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা পার্থর শাশুড়ি তাকে দিয়েছেন। আর বাকি ৫০ লাখ টাকা পার্থর বেতনের একটি অংশ। ওই টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে বাসায় রেখেছিলেন তিনি।
দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ জানান, বর্তমানে সব মিলিয়ে পার্থ গোপাল বেতন পান ৬০ হাজার টাকার মতো। তার বাসা থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা অবশ্যই ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা বলে দাবি করেন দুদক পরিচালক।
এর আগে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ডিআইজির দায়িত্বে থাকার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদক প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ।
পরে ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে ইউছুফের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল তার ভূতের গলি বাসায় অভিযান চালায়।
দুদক জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনার মতামত জানান