পারিবারিক কলহেও অস্ত্রের ঝনঝনানি, গুলিবিদ্ধ গৃহবধু

প্রকাশিত



১৪ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় প্রতিবেশী নাঈম ও রুমির। দুই বছর পর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। ১২ বছরেও বিয়ে মেনে নেননি নাঈমের বড় ভাই ও তার পরিবার। রুমিকে তালাক দিতে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে আসছে নাঈমের বড় ভাই ও পরিবার। গত বুধবার তাদের মধ্যে আবার বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নাঈম পালিয়ে আশ্রয় নেয় তার শ^শুড় বাড়িতে।

আনিসের নেতৃত্বে দেশি অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে নাঈমের শ^শুড় বাড়িতে গিয়ে নাঈমকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তাঁকে বাঁচাতে এসে গুলিবিদ্ধ হন নাঈমের শাশুড়ি সাহার ভানু।

এমন ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের পশ্চিম সনমান্দী গ্রামে। গুলিবিদ্ধ সাহার ভানু উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের পশ্চিম সনমান্দী গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী।

সাহার ভানু জানান, আমার মেয়েকে বিয়ে পর থেকেই জামাইয়ের ভাই ভাতিজারা মেয়েকে তালাক দিতে নাঈমের উপর চাপ সৃষ্টি করত। গত বুধবার তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে নাঈম তার আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কথা কাটাকাটির জের ধরে রাতে আনিস, তার ভাই বুলবুল ও ভাতিজা বাদশা মিয়া দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এ সময় আনিস মিয়া পিস্তল দিয়ে নাঈমকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে জামাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে গুলি আমার বাম পায়ে লাগে। এর পরের ঘটনা আমার মনে নেই।

নাঈম মিয়া জানান, আমাকে হত্যার উদ্যেশে গুলি করলে আমাকে বাঁচাতে এসে শাশুড়ি গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার শেষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে নিয়ে আসি।

ঘটনার পরই আনিস ও তার লোকজন বাড়িঘর তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি গুলি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নাঈম বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি উদ্ধার করেছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনার মতামত জানান