নেইমারদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিলের সেই স্ট্রাইকার (ভিডিও)
শক্তিমত্তায় চিলির চেয়ে অনেক এগিয়ে ব্রাজিল। ফিফার বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ব্রাজিল ৩ নম্বরে রয়েছে। আর চিলির র্যাংকিং ১৭। শনিবারের ম্যাচের আগ পর্যন্ত দুই দলের ৭২ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৫১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাজিল আর চিলির জয় সেখানে মাত্র ৮টি।
আর এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে নেইমারদের। বিরতির সময় বদলি নামা লুকাস পাকুয়েতার একমাত্র গোলে জয় পায় সেলেকাওরা। এমন কষ্টার্জিত জয়ে পেছনে কারণ হতে পারেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে ফুটবলের মাঠে যেন রেসলিং খেললেন জেসুস। দৌড়ে গিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে চিলির লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখে উড়ন্ত লাথি মারেন তিনি। বুটের লাথি খেয়ে আহত হন ইউজেনি।
এটা কী মেনে নেওয়া যায়! সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে জেসুসকে বের করে দেন রেফারি। ফলে বাকি প্রায় ৪৫ মিনিট ১০ জন নিয়েই লড়াই চালিয়ে যায় ব্রাজিল।
অনিবার্য লালকার্ড অবশ্য মেনেই নিয়েছেন জেসুস। কৃতকর্মের জন্য অপরাধবোধ কাজ করছে ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ডের। তার ধারণা এমন কাণ্ড ঘটিয়ে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও সেই বিপদ ভালোই সামলে নিয়েছেন নেইমার-কাসেমিরোরা।
জেসুসের সেই লাথি মারার দৃশ্যটি দেখুন –
তবে খেলা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেইমারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জেসুস।
জেসুস লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি এমন একটি ভুল করেছি, যাতে দলের ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু দলটা শক্তিশালী। আমি আমার সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাই এবং আমি সব সময় ভুল থেকে শিখব।’
আহত প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে নিয়েও দুশ্চিন্তা করেছিলেন জেসুস। লিখেছেন, ‘মেনা সুস্থ আছে জানার পর স্বস্তি লাগছে এবং ওর সঙ্গে কথাও বলেছি। চিলির এই দলটি খুব ভালো।তবে যোগ্যদল হিসেবে আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি।’
প্রসঙ্গত, সেমির টিকিট নিশ্চিত হলেও আগামী ৫ জুলাইয়ে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামাতে পারছেন না জেসুস। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। লাল কার্ড দেখায় সে ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। এমনকি শাস্তি বাড়লে ব্রাজিলের হয়ে আরও কয়েকটি ম্যাচেও দেখা যাবে না তাকে। সেই অর্থে ব্রাজিল ফাইনালে উঠতে পারলে সেটাও খেলা হবে না জেসুসের।
আপনার মতামত জানান