নির্বাচনী মাঠ থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পলায়ন, জনমনে ক্ষোভ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা জাতীয় পার্টি ৪টি ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে লাঙ্গল মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষনা দেয়। তফসিল ঘোষনার পরপর স্থানীয় জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ৪ টি ইউনিয়নের লাঙ্গল প্রতিকের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করেন। কিন্তু নির্বাচনের আগেই আজ ১১ নভেম্বর বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী দাইয়ান সরকার তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় নৌকার সমর্থকরা আনন্দে ভাসলেও ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির কর্মী ও সাধারন ভোটাররা।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা রকম টল করছেন স্থানীয়রা। ফেসবুকে বিদ্যুৎ শেখ বারদী ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করতে গিয়ে লিখেছেন:
জানা যায়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার নেতৃত্বে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সিলেটের হযরত শাহ জালাল (রঃ) মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী মাঠে নামেন।
কিন্তু নিশ্চিত পরাজয় আচ করতে পেরে নির্বাচনের মাঠে তৃণমূল নেতাদের ফেলে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন দাইয়ান সরকার। ফেসবুকে টাকা লেনদেনের বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় স্থানীয় ভোটাররা জানান, আমরা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম জাতীয় পার্টি এখানে নির্বাচন করতে আসেনি। তারা নির্বাচনে বিক্রি হতে দোকান খুলে বসেছে। দেখুন চড়াদাম পেলে বাকি তিনটাও বিক্রি করে দিতে পারে। তারা আরো জানান, সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টি কোনকালেই ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেনি। যতোবার এসেছে বিনা ভোটে। তাই ভোটের কথা শুনলেই তাদের গায়ে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
বারদী ইউনিয়নের ভোটাররা জানান, দাইয়ানের মতো একজন অপরাধপ্রবন অযোগ্যকে লাঙ্গলের মনোনয়ন দেওয়ার পরই আমরা বুঝতে পেরেছি তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নয় বিক্রি করতেই হাটে তুলেছে।
আপনার মতামত জানান