নারায়ণগঞ্জে নারী পুলিশ সদস্যের গোপন ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিডি পুলিশ’ নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হৃদয় খান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে এসএএফ শাখায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। আর অভিযুক্ত যুবক হৃদয় খানের বাড়ি ঢাকার মগবাজার এলাকায়। হৃদয় ওই নারীর আত্মীয় এবং দুই বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে হোয়াটসঅ্যাপে হৃদয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো।

হৃদয় খান তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। পরে তারা হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন ও আপত্তিকর অশ্লীল ভিডিও আদান-প্রদান করেন, যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখেন।

ওই নারী পুলিশ সদস্য এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, হৃদয় তার অজান্তে তার সঙ্গে কাটানো একান্ত মুহূর্তের কিছু ভিডিও ধারণ করেন। পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে হৃদয় তার ব্যক্তিগত জি-মেইলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। সেখান থেকে মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করেন।

পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিডি পুলিশ’ নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে ওইসব আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি আপলোড দিলে তা ভাইরাল হয়। এতে সামাজিকভাবে ও কর্মস্থলে তার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।

বুধবার (২ জুন) ছুটি পেয়ে কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আসেন ওই নারী পুলিশ সদস্য। পরের দিন সকাল ৯টায় হোয়াটসঅ্যাপ চালু করে দেখেন হৃদয় তাদের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন। পরে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে মামলা দায়েরের পরই আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সূত্রঃ জাগো নিউজ ২৪

আপনার মতামত জানান