নারায়ণগঞ্জে আবু নাসের হাসপাতালসহ অগ্নিঝুঁকিতে ১৩৫ ভবন
প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জে দিন দিন পাল্লা দিয়ে উচু ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। আর এ প্রতিযোগিতার ভিড়ে কেউই মানছেন না ভবন নির্মাণের নিয়মনীতি। তাই এসব ভবনে থাকছে বিভিন্ন ঝুঁকি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের ১৩৫ ভবন রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে। এ অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তা দ্রুত নেভানো সম্ভব নয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, পরিদর্শকদের জরিপের এসব ভবনকে ঝুঁকিপুর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ভবনে বিকল্প সিঁড়ি, ইমারজেন্সি লাইটিং, নির্বাপক ও উদ্ধার যন্ত্র, প্রশিক্ষিত জনবল কিছুই নেই। এরমধ্যে আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে কারিগরী জটিলতা অনেক বেশি। ভবনগুলোতে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের পরামর্শের পাশাপাশি বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে নিরাপদ ভবন বা ঝুঁকিমুক্ত অট্টালিকা নির্মাণে যথোপযুক্ত আইন থাকলেও তা বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আইন ও বিধিবিধান বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের তরফে সমন্বিত কোনো ব্যবস্থা যেমন নেই, তেমনি তদারকির জন্যও নেই কোনো কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ভবনধস, অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল সংশ্লিষ্টরা নড়েচড়ে বসেন। কিছুদিন কর্মতৎপরতা বেড়ে যায়। অথচ বাসযোগ্য রাখতে অবৈধভাবে, কোড না মেনে, অনিয়ম করে স্থাপনা নির্মাণ রোধ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর পরিকল্পনা, নকশা প্রণয়ন, স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও নির্মাণে জড়িত পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি ও প্রকৌশলীর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটির সদস্য ও ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন, একসময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিত। এখন অনুমোদন দেয় রাজউক। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহর নিয়ন্ত্রণে যে ধরনের ব্যবস্থপনা দরকার সেটা তাদের নেই।
আপনার মতামত জানান