নাঃগঞ্জে আইভী’র বিকল্প নাই
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিকল্প নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। নারায়ণগঞ্জে আইভীই একমাত্র ভরসার নাম। মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জনগণের অফুরন্ত ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন। সেদিনও তিনি শত ভাঁধা উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিয়েছিলেন।
২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্যোগ সময়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর সিটি করপোরেশন গঠনের পর ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শামীম ওসমানকে সমর্থন দিলেও জনতার প্রার্থী হয়ে আইভী ১ লাখেরও বেশী ভোটে জয়ী হয়ে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৩ ডিসেম্বর রাতে মনোনীত হওয়ার খবরে শহর জুরে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সুফলভোগী সিটি কর্পোরেশনের সাধারন মানুষ। মেয়র পদের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে আইভী ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল ও মহানগরের সহ সভাপতি চন্দন শীল দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন।
যদিও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই এই ঘোষণা দেয়ার কথা ছিলো। তাই চাপা উত্তেজনা ছিলো দিনব্যাপী। সকলের মধ্যে ছিল উৎকণ্ঠা। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়ায় গুঞ্জন আরও চওড়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করার কথা শুনে বিকেল ৪ টা থেকেই জেলা কার্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করেন জেলার গুরুত্বপূর্ন নেতারা।
অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে রাত পৌনে ৮টায় জানানো হয় আইভীর নাম। মুহূর্তের মধ্যে উল্লাসে ফেটে পড়েন কর্মী সমর্থকেরা।
আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ডিসেম্বর। গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে এ তফসিল ঘোষণা করেন ইসির সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
আপনার মতামত জানান