ধর্ষণ মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
বিশেষ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ওমান ফেরত প্রবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্তের পরিবার। সোমবার সকালে সোনারগাঁ পৌরসভার একটি রেস্টুরেন্ট সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত হাসানের বাবা সাহাবুদ্দিন বলেন, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইলিয়াসদি গ্রামের বাসিন্দা। আমার ছেলে হাসান দীর্ঘদিন যাবত ওমান প্রবাসী। গত প্রায় ৫ মাস আগে ছুটিতে আসে। আমার ৫ শতক বসতভিটা কম্পানির কাছে বিক্রি না করায় গত তিনমাস আগে আমার ছেলে হাসানকে একই এলাকার আসর আলী, তার ছেলেসহ একটি সশস্ত্র দল মেরে রক্তাক্ত করে রেখে যায়। পরে সোনারগাঁ সরকারি হাসপাতালে নিলে তার ঠোঁটে ৮ টি সেলাই হয়। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে আনর আলীর নেতৃত্বে একই গ্রামের একজন কন্যা সন্তানের জননীকে বাদী করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ তদন্তের স্বার্থে আমার ছেলে হাসানকে সোনারগাঁ থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। ২৪ তারিখ সকালে মেয়ে, মেয়ের পরিবার এবং আমার ছেলেসহ আমাদের ওসি মহোদয়ের কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে মেয়েটি সঠিক কোন তথ্য দিতে পারে নাই। মেয়েটি ওসি মহোদয়ের সম্মূখে একবার বলে কুমিল্লা, একবার বলে গাজীপুর আবার বলে নরসিংদীতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং এও বলে আমার ছেলে তাকে ফোনে ডেকে এনে একটি হাইচ গাড়ি করে নিয়ে যায়। এ সময় ছেলের ফোন নম্বর চাইলে সে বলে মেয়েটি ফোন ব্যবহার করে না। এ সময় তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে কোন কিছুই গোপন করা সম্ভব না। আমার ছেলে গত ৫ মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফেরার পর গত ৪ মাস যাবত বারাকপুরে একটি বাড়ির ঠিকাদারি কাজ করছে। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত আমার ছেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিদেশ থেকে আসার পর প্রতিদিন আমরা বাপ ছেলে ইলিয়াসদি জামে মসজিদে ফজর নামাজ আদায় করে বারকপুরে কাজে চলে যায়। সেখানেও রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি ও স্থানীয়রা প্রমান করবে। এছাড়া মোবাইল ট্রাকিং দিলেও আমার ছেলের অবস্থান স্পষ্ট হবে। এর পূর্বেও সে একজন এনজিও কর্মী এবং একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র সত্যতা খুঁজে পায়নি, সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গত দু’দিন ধরে কিছু অনলাইন মিডিয়া আমাদের পরিবার ও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে যা সাংবাদিকতার নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী। তারা অপপ্রচার করছে আমরা ওসি সাহেবকে ৩ টি ৫০ হাজার টাকার বান্ডেলে দেড়লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছি যা তারা দেখেছে। মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তদন্তে প্রমান না হওয়ায় ওসি মহোদয় মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিছু সাংবাদিক আমার প্রতিপক্ষের আত্মীয় হওয়ার কারনে সাংবাদিকতার নীতি বিসর্জন দিয়ে আমার পরিবার ও পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনারাও তদন্ত করে এর সত্যতা বের করুন। আমার ছেলে দোষী হলে আমি পিতা হয়েও তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাই। আর যদি আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমান হয়, সে বিচারও আপনাদের নিকট রইল।
আপনার মতামত জানান