দূর্দান্ত বোলিং, জেতানোর দায়িত্ব ব্যাটসম্যানদের

প্রকাশিত

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিজেদের কাজটা সূঁচারূভাবে পালন করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাদের দাপুটে বোলিংয়ে ১৭৭ রানে আটকে গেছে টুর্নামেন্টজুড়ে ভীতিকর ব্যাটিং করে যাওয়া ভারত। দুর্দান্ত বোলিং, চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিং আর শারিরীক ভাষায় মাঠজুড়ে প্রভাব বিস্তার করেছে বাংলাদেশিরা। শক্তিশালী ভারত ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে অল-আউট হয়ে গেছে।

বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমেই ভারতকে কাঁপিয়ে দেয় টাইগাররা। দলীয় ৯ রানে ডিএ সাক্সেনাকে মাহমুদুল হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন অভিষেক দাস। রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। এরপর জসশ্বী জয়সওয়াল আর তিলক ভার্মার ব্যাটে এগুতে থাকে ভারত। ২৩ ওভারে দুজনের জুটিতে আসে ৯৪ রান। অবশেষে ২৯তম ওভারে দলীয় ১০৩ রানে তানজিম সাকিবের বলে শরিফুলের তালুবন্দি হন তিলক (৩৮)। নতুন ব্যাটসম্যান পিকে গ্রেগ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রকিবুলের বলে আউট হন ৭ রান করে।

এর মাঝেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ওপেনার জয়সওয়াল। সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও তাকে হতাশ হতে হয়। শরিফুল ইসলামের বলে তানজিদের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন ১২১ বলে ৮৮ রান করা এই ব্যাটসম্যান। ১৫৬ রান পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হন উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেল (২২)। ভারতের ৭ম উইকেটের পতন হয় রবি বিঞ্চুর বিদায়ে। শরিফুলের দুর্দান্ত এক থ্রোতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন রবি (২)। ৩ রান করা অথর্ব আনকোলেকারকে বোল্ড করে দেন অভিষেক। উইকেটে এসে ৫ বল খেলে ‘ডাক’ মারেন কার্তিক ত্যাগী। সুশান্ত মিশ্রের (৩) বিদায়ে শক্তিশালী ভারত ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়।

সিনিয়র এবং জুনিয়র দল মিলিয়ে এটাই প্রথমবার কোনো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন শনিবার অধিনায়ক আকবর আলী প্রত্যয়ী কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘ভারত দুর্দান্ত দল। তাদের ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগই খুব ভালো। টুর্নামেন্টে তারা অপরাজিত, আমরাও। আশা করছি, ভালো একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমরা তাদের নিয়ে যে পরিকল্পনা সাজিয়েছি, সেগুলো যদি মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারি, ইনশাল্লাহ ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে।’

আপনার মতামত জানান