দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন লিপি ওসমান
‘মানুষ মানুষের জন্য; জীবন জীবনের জন্য’— ভূপেন হাজারিকার এই প্রবাদটি আজও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। গ্রাম থেকে শহর, করোনার এ সময়ে অনেক জায়গা এখন আরও সেই মানুষত্ব প্রকাশ পায় না। আবার অনেক জায়গায় হিন্দু-মুসলিম একাকার।
একজনের জন্য আরেকজন এগিয়ে আসে, অর্থ-বিত্ত, জনবল নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের এক নারী, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের পুত্রবধূ, সালমা ওসমান লিপি। বরাবরই মানুষের সমস্য, সঙ্কট অসহায়ত্বের খবর পেলে মায়াবী আচঁলখানি বাড়িয়ে দেন। আবারও সেটা প্রমান করলো, এবার তল্লার ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণে হতাহত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িনোর আশ্বাস দিলেন। তাও, ওই পরিবারের সংকট নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের আধাঘন্টার মধ্যে।
গত ২৭ এপ্রিল ‘টাকার অভাবে বন্ধ হতে পারে দগ্ধদের চিকিৎসা’ শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল লাইভ নারায়ণগঞ্জে সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসলে পরিবারটিকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন সালমা ওসমান লিপি। পাশাপাশি, সেই থেকে প্রতিনিয়তই খোঁজ রাখছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের সদস্যদের।
সালমা ওসমান লিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মিনী। যিনি লিপি ওসমান নামেই বেশি পরিচিত। করোনা মহামারীর গত এক বছরে, অসংখ্য পরিবারকে প্রকাশ্যে-গোপনে সহায়তা করে চলছেন তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যম কিংবা এলাকাবাসী, বা নেতাকর্মীরা, তার কাছে খবর পৌছাতে পারলেই হলো- নানা মানুষের নানা সঙ্কটে নানা ভাবেই তিনি হাত বাড়িয়ে দেন।
গত ২৩ এপ্রিল ভোরে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার একটি ভবনের ফ্ল্যাটবাড়িতে গ্যাসের বিস্ফোরণে দুইটি ভাড়াটিয়া পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে থেকে অসহায় একটি পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হলে ২ জনের মৃত্যু হয়। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৪ জন। টাকার অভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছিল বাকিদের চিকিৎসাও।
এ অবস্থায় সংবাদটি দেখতে পেয়ে সালমা ওসমান লিপি জানান, অর্থের অভাবে কারো চিকিৎসাই বন্ধ হবে না। আমরা পাশে আছি, পাশে থাকবো। ওদের জন্য যা যা করোনীয় সব করা হবে।
এদিকে, সহযোগীতার আশ্বাসের খবর পেয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে দুর্ঘটনায় নিহত দুই জনের মেয়ের জামাতা মো. বিপ্লব(যার স্ত্রী ও শিশু সন্তানও বার্ন ইউনিটে) জানান, আমাদের হাতে কোন টাকাই ছিল না। আমাদের চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসছিলো, ভেবে ছিলাম হয়তো টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারবো না। কিন্তু সালমা ওসমান লিপি ম্যাডামের পাশে থাকার খবর পেয়ে এখন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারছি। সূত্রঃ লাইভ নারায়ণগঞ্জ।
আপনার মতামত জানান