তাবলিগে আসা ১৫ মুসল্লিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে টাকা লুট

প্রকাশিত


হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাবলিগের মুসল্লিরা
ভোলায় তাবলিগ জামায়াতে আসা ১৫ জন মুসল্লিকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। অচেতন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের জ্ঞান ফিরলেও আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১৩ জন এখনও অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুন) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মুসল্লিরা হলেন মো. আনছানার আলী (৭৫), মাওলানা আরিফ (৩৫), বাবুল হক (৫৫), মোখলেছ (৭৭), সাইদুর রহমান (৫৬), মেহেরাব আলী (৬০), আক্কাস আলী (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), আক্কাস আলী (৬০), মোহাম্মদ হোসেন বাবুল (৬০), আবু বকর সিদ্দিক (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. জালাল হোসেন (২৫), আবদুল কাদের (৪০), মুফতি আমিনুল ইসলাম (২৫)।

আহত ১৫ জনের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ১১ জন, ফরিদপুরের দুজন, কুমিল্লার একজন ও বগুড়ার একজন। তারা সবাই তাবলিগ জামায়াতের মুরব্বী মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী বলে জানা গেছে।

জ্ঞান ফিরে আসা মুসল্লি মাওলানা আরিফ জানান, তাবলিগের ১৫ জনের এক চিল্লার একটি জামায়াত বুধবার ঢাকার টঙ্গি থেকে ভোলার মারকাজ মসজিদে আসে।

সেখান থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে তারা সবাই মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের খাবারের সাথেই নেশাজাতীয় কিছু মেশানো ছিল বলে ধারণা তার। শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ পড়তে এসে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিরা তাদের অচেতন অবস্থায় পায়।

পরে তাদের ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের জ্ঞান ফিরে আসলেও ১৩ জন এখনও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।

রাতের যেকোনো সময় তাবলিগের মুসল্লীরা অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাদের সাথে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে গেলেও মোবাইল বা অন্য কোনো মালামাল নেয়নি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবারে নেশা মেশানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, খাবারের পরপরই সবাই আস্তে আস্তে অচেতন হয়ে পড়েন।

যে দুজন সুস্থ আছেন তারা রাতের খাবার কম খেয়েছেন। সে কারণে তারা পুরোপুরি অচেতন হননি।

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার ডা. নিশি পাল জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান