ডাকসুতে ভিপি নুর ও সহযোগিদের উপর হামলায় তদন্ত কমিটি
ডাকসু ভবন ও মধুর ক্যান্টিন এলাকায় ভিপি নুর ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে আগামী ছয় কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাঈনুল করিম।
এদিকে, ভিপি নুর এবং অন্য আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. এ কে এম নাসির উদ্দিন গত রাতে বলেন, ‘নিউরো সার্জন অধ্যাপক ডা. রাইসুল হকের নেতৃত্বে এই মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড মঙ্গলবার (আজ) সকাল ১০টায় আহতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দেবে।’
গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ভিপি নুরুল হক নুর এবং অন্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নুর ও ফারাবীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন।
হামলায় নুরুল হক নুর ছাড়াও আহতরা হলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, এ পি এম সুহেল, মশিউর রহমান প্রমুখ। আহতদের মধ্যে নুর, নুরের ছোট ভাই আমিনুর এবং এ পি এম সুহেল ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে রয়েছেন। লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন চার্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন ফারাবী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশ (বুলবুল-মামুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুলবুল ও মামুনের নেতৃত্বে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের কার্যালয়ে যায়। সেখানে বহিরাগতদের রাখার অভিযোগ তুলে নুরদের ওপর হামলা ও অফিস কক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে ডাকসু ভবন থেকে নেমে ভবনের নিচে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় ডাকসু ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ভিপি নুরের সংগঠন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রথমে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ডাকসু ভবনের ভেতরে অবস্থানরত ভিপি নুরকে হুমকি দিয়ে কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নুরসহ বেশ কয়েকজনকে রুমে আটকে মারধর করেন। মারধরে নুরসহ প্রায় ৪০ জনের মতো আহত হন।’
সুত্র : কালের কন্ঠ
আপনার মতামত জানান