ঠিকাদার বললেন ‘কোন সমস্যা হবে না’ প্রতিটি পিলারই বাঁকা

প্রকাশিত

মনোহরদীতে মাদরাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ করা হচ্ছে এ ভবন। তা ছাড়া অদক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করায় ভবনের সামনের অংশের প্রতিটি পিলার বাঁকা হয়েছে। লাখপুর কাসিমূল উলুম ফাযিল মাদরাসা চারতলাবিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজে এ অনিয়ম চলছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় স্থানীয় সচেতন মহলে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন লাখপুর কাসেমূল উলুম ফাযিল মাদরাসার চারতলা ভবনের বরাদ্দ রয়েছে দুই কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৬ টাকা। রায়পুরার রনি ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।

গত ২০ জুন থেকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত কাজের প্রায় ২৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে পেরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাই দেওয়ার পর জোড়াসহ রড ভেসে রয়েছে। ভবনের সামনের অংশের প্রতিটি পিলার প্রথম তলার ছাদের ওপর গিয়ে বেঁকে গেছে। ছাদের ঢালাই পাঁচ ইঞ্চি দেওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে তিন ইঞ্চি দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া রডের কাভারিং কম থাকায় ঢালাই একপাশে কম এবং অন্যপাশে বেশি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলীদের তদারকি না থাকায় এসব অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়রা জানান, শিডিউলে উন্নতমানের ইট, পাথর, রড ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট, পাথর, সমদূরত্বে রড না দেওয়া এবং পরিমাণে সিমেন্ট কম দিয়ে বেশি পরিমাণে বালি ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছেমতো নিম্নমানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত তদন্ত করে শিডিউল অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

মাদরাসা গভর্নিং বডির সভাপতি ও চন্দনবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরণ বলেন, অনিয়ম দেখার পর আমরা ঠিকাদারকে নির্মাণ কাজে বাধা দিই।

এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর সাথে আমার বাকবিতণ্ডা হয়েছে। বর্তমানে বাঁকা পিলারগুলোতে সংস্কার কাজ চলছে। অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুর রহমান খোকন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। শিডিউল অনুযায়ী ভবনের কাজ চলছে। তবে পিলার কিছুটা বাঁকা হলেও সমস্য হবে না। পরবর্তীতে সেগুলো সমান করে দেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান