জামের যত উপকারিতা
গরমকালের ফল হলো জাম। জাম অনেকেরই প্রিয়। সব বয়সের মানুষ কম বেশি জাম খায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়েটি ফাইবারের একটি উৎস কালো জাম, এটি লিভারকে সক্রিয় করে এবং হজম সুস্থ রাখে। এছাড়াও জামের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
হার্টের সুস্থতায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জাম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, কালো জামের উপস্থিতি পটাশিয়াম এবং ফসফরাস জাতীয় প্রয়োজনীয় খনিজগুলো নির্দিষ্ট কার্ডিও-ভাস্কুলার অবস্থার রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ভিটামিন বি১,বি২,বি৩,বি৬ এর পাশাপাশি ভিটামিন সি রয়েছে কালো জামে। জাম হলো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যালগুলোতে আক্রমণ করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:
জামে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
হাড়ের যত্নে:
কালো জাম হাড়কে শক্তিশালী করে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলির উপস্থিতি হাড় এবং দাঁতগুলোকে মজবুত করে। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে আধ চা চামচ কাল জামের গুঁড়ো হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।
ত্বকের যত্নে:
জামের এমন কিছু কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্ল্যাকহেডস, পিম্পলস এবং ব্রণ হওয়া রোধ করে। ফলের রক্ত পরিশোধক বৈশিষ্ট্যগুলোর পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে জাম।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসায়:
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য ভাল কালো জাম। জামে কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে যা দেহে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ঘন ঘন তৃষ্ণা এবং প্রস্রাবের লক্ষণগুলোও নিরাময় করে। জাম, মধু ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেকদিন ১০০ গ্রাম করে কাল জাম খেতে পারেন। তবে খালি পেটে এই ফল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সূত্রঃ কালেরকন্ঠ।
আপনার মতামত জানান